ঢাকা: নৌ-যানের নকশা অনুমোদন এবং তদারকি ব্যবস্থা জেলা উপজেলা পর্যায়ে বিকেন্দ্রীকরণের দাবি জানিয়েছে নিরাপদ নৌপথ বাস্তাবায়ন জোট ও কোস্ট ট্রাস্টসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন।
বুধবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলনে অপন, আকাশ, উদয়ন বাংলাদেশ, নিরাপদ নৌপথ বাস্তবায়ন জোট, কোস্ট ট্রাস্ট এ দাবি জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি বলা হয়, নকশা প্রণয়নকারী ও ত্রুটিপূণ নকশার লঞ্চ নির্মাণকারীকে আইনের আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে মেরিন মেজিস্ট্রেট কোর্টে পুলিশ ফোর্স মঞ্জুর করতে বলা হয়।
বক্তারা বলেন, যাত্রার প্রাক্কালে লঞ্চ যাত্রীদের তালিকা প্রণয়ন বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং ঈদ ও পূজার ছুটিতে এবং কালবৈশাখীর সময়ে লঞ্চ ঘাটে অতিরিক্ত পরিদর্শনকারী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ নিয়োগ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনগুলোর পক্ষে বক্তব্য রাখেন কোস্ট ট্রাস্টের মো মুজিবুল হক মনির ও মোস্তফা কামাল আকন্দ।
মোস্তফা কামাল আকন্দ বলেন, এমবি (মেরিন ভ্যাসেল) এমএল(মেরিন লঞ্চ) নামের হাওরাঞ্চলে চলাচলের উপযোগী লঞ্চগুলো বড় নদীতে চলাচল নিষেধ করতে হবে। এসব লঞ্চ একটি আরেকটির ধাক্কা সহ্য করতে পারে না ডুবে যায়। তবু বার বার দুর্ঘটনার পরও লঞ্চগুলো ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল করছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মাওয়া কাওড়াকান্দি রুটে ৮৭টি মতো লঞ্চ চলাচল করে। যার অধিকাংশই ৩০ থেকে ৪০ বছরের পুরানো। এদের মধ্যে ২৫টির কোনো ফিটনেস নেই। লঞ্চগুলোতে নেই পর্যাপ্ত বয়া ও লাইফ জ্যাকেট। ভাড়া আদায়ের ক্ষেত্রেও মানা হয় না নিময়কানুন।
এতে আরো বলা হয়, ঢাকায় বসে নৌ-যানের ফিটনেস সার্টিফিকেট দেয়া হয় বলে বেশিরভাগ লঞ্চের নকশাতে ক্রুটি থেকে যায়। নৌ-যানের সার্ভে ও ফিটনেস পরীক্ষা করার দায়িত্বে রয়েছেন মাত্র পাঁচজন ইঞ্জিনিয়ার ও শিপ সার্ভেয়ার। যে কারণে ফিটনেসবিহীন নৌ-যান চলাচল বন্ধ করা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৫