ঢাকা: ভূমির সঠিক ও পরিকল্পিত ব্যবহার নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য আলাদা একটি কর্তৃপক্ষ গঠনের কথাও বলেন তিনি।
বুধবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জাতীয় ভূমি ব্যবহার কমিটির সভায় এ নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
সভায় গ্রামীণ অবকাঠামো বিশেষ করে পরিকল্পিত আবাসনের জন্যে ‘ভিলেজ ইমপ্রুভমেন্ট অ্যাক্ট’ নামে একটি নতুন আইন, পরিকল্পিত নগরায়নের জন্য ‘টাউন ইমপ্রুভমেন্ট অ্যাক্ট-১৯৫৩’ ও সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি বিধান হালনাগাদ করে বাস্তবায়ন করাসহ ভূমির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভূমির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। খাদ্য নিরাপত্তা ও খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। এজন্য ভূমিকে সঠিক ও পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করতে হবে। এতে বিরাট জনগোষ্ঠীর উপকার হবে।
উপজেলা পর্যন্ত সঠিক ও পরিকল্পিত ভূমি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ভূমির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে আলাদা একটা ‘কর্তৃপক্ষ’ গঠন করার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
চাষযোগ্য জমি রক্ষার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উর্বর জমি নষ্ট করা যাবে না। চাষযোগ্য জমি রক্ষা করতে হবে। দুই তিন ফসলি জমিতে বাড়ি-ঘর, শিল্পকারখানা নির্মাণ করা যাবে না। শিল্পকারখানা হবে ইপিজেডগুলোতে।
ভূমির সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে রাস্তাগুলো পরিকল্পিতভাবে করারও নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, রাস্তাগুলো এমন ভাবে করতে হবে যাতে চাষযোগ্য জমি, পরিবেশ ও জলাধার রক্ষা করা যায়।
বাসস্থান নির্মাণে জমি সাশ্রয়ী হওয়ার পরামর্শ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, পরিকল্পিতভাবে সীমিত জমি ব্যবহার করে বাসস্থান নির্মাণ করতে হবে।
বাসস্থান নির্মাণের ক্ষেত্রে বহুতল বাড়ি নির্মাণকেও উৎসাহিত করেন প্রধানমন্ত্রী।
পরিকল্পিত নগরায়ন ও শিল্পায়নের ওপর গুরুত্ব তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
যেকোনো ভাবে বনকে রক্ষা করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বনের জমিতে শিল্পকারখানা করা যাবে না।
সভার বাকি সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে রয়েছে উদ্ধারকৃত জমি সরকার খাসজমি হিসেবে পুনঃগ্রহণ করবে।
কৃষিজমি যতোটুকু সম্ভব কৃষিকাজেই ব্যবহার করতে হবে এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া জমির প্রকৃতিগত কোনো পরিবর্তন আনা যাবে না।
সিটি করপোরেশন অথবা পৌরসভাগুলো স্ব স্ব অধিক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার্য জমির একটা জোনিং ম্যাপ করবে। এছাড়া সভায় রেলমন্ত্রী ও রেল সচিবকেকে জাতীয় ভূমি কমিটিতে অর্ন্তভূক্ত করা হয়।
সভার শুরুতে প্রধানমন্ত্রী ২০০৯ সালে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের স্মরণ করেন। তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
সভায় জাতীয় ভূমি ব্যবহার কমিটির সদস্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৫