বান্দরবান: পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় চাঁদাবাজি, অপহরণ, বাঙালি হত্যাসহ সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর ব্যাপক চাঁদাবাজী বন্ধের দাবিতে ‘জাগো পার্বত্যবাসী’র ব্যানারে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।
বুধবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বান্দরবান প্রেসক্লাবের সামনে ‘জাগো পার্বত্যবাসী’র ব্যানারে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করে।
এতে বক্তব্য রাখেন, বাঙালি নেতা নুরুল আলম, আবেদুর রহমান, কামাল, গোলাম সরওয়ার, আবদু জলিল, সিরাজ খলিফা, ইয়াসিন চৌধুরী প্রমুখ।
কর্মসূচিতে বক্তরা বলেন, সন্ত্রাসীদের অব্যাহত চাঁদাবাজী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি বাঙালি ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুক্ষীণ হচ্ছে। চাঁদাবাজীর কারণে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড। এছাড়াও অপহরণ, গুম, হত্যার কারণে আতঙ্ক বিরাজ করছে পাহাড়ে। পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি বিনষ্ট করছে বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠন। বক্তারা অবিলম্বে পাহাড়ে চাঁদাবাজী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।
শ্রমিকনেতা আব্দুল জলিল বলেন, পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় চাঁদাবাজী, অপহরণ, বাঙালি হত্যা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্যাম্প প্রত্যাহার বন্ধ করতে হবে। পাহাড়ে চাঁদাবাজীর মাত্রা বেড়ে গেছে। প্রতিটি গাড়ি, ইটভাটা, কনস্ট্রাকশনের কাজ ও কাঠের জোত পারমিটের বিপরীতে লাখ লাখ টাকা চাঁদা সংগ্রহ করছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।
এদিকে এ কর্মসূচির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় ওরফে সন্তু লারমাকে বান্দরবানে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করে তাকে ‘প্রতিহত’ করার ঘোষণা দেওয়া হয়। সন্তু লারমার ১৩ মার্চ বান্দরবানের সফর ‘প্রতিহত’ করারও ডাক দেন আন্দোলনকারীরা।
চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের মূল হোতাদের গ্রেফতারেরও দাবি জানান আন্দোলনকারীরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৫