নারায়ণগঞ্জ: নিজের নষ্ট চোখে ভালো চোখ প্রতিস্থাপন করতেই শিশু সুমনের (৪) চোখ তুলে নেওয়ার পর তাকে হত্যা করেন কাঞ্চন মিয়া।
কাঞ্চন মিয়ার ছেলে রবিনের (১০) দেওয়া জবানবন্দিতে বেরিয়ে এসেছে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য।
বুধবার (২৫ ফেব্রুযারি) আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে এসব তথ্য দেয় রবিন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশীষ কুমার এসব তথ্য জানান।
আশীষ কুমার জানান, বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চাঁদনী রূপমের আদালতে রবিন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
জবানবন্দীতে রবিন স্বীকার করে যে, তাদের পাশের বাড়িতেই সুমন থাকে। কাঞ্চন মিয়ার বাম চোখ দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট। সম্প্রতি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন দিনমজুর কাঞ্চন মিয়া। চিকিৎসক তাকে বলেন, একটি ভালো চোখ প্রতিস্থাপন করলে কাঞ্চন মিয়া ওই চোখ দিয়ে দেখতে পারবেন। এরপর থেকেই কাঞ্চন মিয়া চোখের সন্ধান শুরু করেন।
২২ ফেব্রুয়ারি (রোববার) কাঞ্চন তার ছেলে রবিনকে দিয়ে সুমনকে ডেকে নেন। পরে কাঞ্চন মিয়া নিজেই কোলে করে সুমনকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান। রাতে সুমনের কথা জিজ্ঞেস করলে কাঞ্চন মিয়া বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে রবিনকে শাসিয়ে দেন বলেও জবানবন্দিতে জানায় রবিন।
২৩ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) সন্ধ্যায় ফতুল্লার দাপায় হামিদ ফ্যাশনের পেছনের একটি ঝোঁপ থেকে সুমনের জবাই করা ও চোখ উপড়ানো মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ রবিনকে আটক করে। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে রবিন পুরো ঘটনার বর্ণনা দেয়।
আশীষ জানান, সুমনের চোখ তুলে নেওয়ার পর বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তাকে জবাই করা হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৫