বগুড়া: মিছিল, সমাবেশ, মানববন্ধন, গণসংযোগ কিছুই নেই বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের কর্মসূচিতে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দোহাই দিয়ে মাঠ ছেড়ে দিয়েছেন বিএনপির প্রায় সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।
বিষয়টিকে আওয়ামী লীগের সফলতা হিসেবেই দেখছেন রাজনীতি বিশ্লেষকেরা। তাদের মতে, বিএনপির উচিৎ ছিল জনগণের সঙ্গে মিশে তাদের পক্ষে জনমত গঠন করা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বগুড়া আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের এক নেতা বলেন, কিছু ইস্যু থাকা সত্ত্বেও বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট দেশের জনগণকে কাছে টানতে পারেনি। কারণ মানুষ এখন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বগুড়া জেলা বিএনপির প্রথম সারির এক নেতা বলেন, মানুষ বর্তমান সংসদ সদস্যদের মেনে নিতে পারছে না। কিন্তু এজন্য যে ধরনের আন্দোলন গড়ে তোলা উচিৎ ছিল তা করতে ব্যর্থ হয়েছি আমরা। এদিকে হরতাল-অবরোধে সহিংসতায় জনমত বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের বিপক্ষে যেতে বসেছে বলে মনে করেন বগুড়াবাসী।
তিনি আরও বলেন, উপযুক্ত নেতৃত্বের অভাবে আন্দোলনে যেতে দ্বিধাগ্রস্ত হচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা।
বগুড়া জেলা ছাত্রদলের এক নেতা মনে করেন, মূল দল বিএনপির সঙ্গে সমন্বয়হীনতা রয়েছে তাদের। তাই বিভিন্ন কর্মসূচিতে মাঠে নামতে সাহস করছেন না তারা। যে কারণে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি শুধু কাগজেই সীমাবদ্ধ থাকছে।
অন্যদিকে বিএনপির মধ্যে সমন্বয়হীনতা না থাকার সুযোগ নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রত্যেকটি এলাকায় সুদৃঢ় অবস্থান নিয়ে রেখেছে বলে মনে করেন অনেকেই।
হরতাল-অবরোধের মধ্যেও বগুড়া শহরে তীব্র যানজট পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত থাকার অজুহাতে যানজট নিরসনে তৎপরতা দেখাচ্ছে না ট্রাফিক পুলিশ। এর ফলে ভোগান্তিতে পড়ছে স্কুল পড়ুয়া শিশু থেকে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫০ ঘণ্টা, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫