ঢাকা: ঘন ঘন নৌ-দুর্ঘটনায় বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
নৌ-দুর্ঘটনা রোধে পদক্ষেপ নিতে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়কে ১০ দিনের সময় দিয়েছে কমিটি।
বৃহস্পতিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১১তম বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়। কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে সংসদে তার অফিস কক্ষে রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বার বার নৌ-দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনা ঘটলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এর বাইরে আরো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায় না।
তিনি বলেন, কমিটির পক্ষ থেকে দুর্ঘটনার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে আগামী ১২ মার্চ পরবর্তী মিটিংয়ে কি কি পদক্ষেপ নিলে নৌ-দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা যায় তার জন্য সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব চাওয়া হয়েছে।
বার বার নৌ-দুর্ঘটনার জন্য লঞ্চের ফিটনেস এবং সেভ ডিজাইন না থাকাকেই দায়ী করেন তিনি।
অধিকাংশ লঞ্চেরই ফিটনেস নেই উল্লেখ করে রফিকুল ইসলাম আরো বলেন, এক্ষেত্রে পর্যাপ্ত লোকবল বা অবকাঠামো না থাকার জন্যই এমনটি ঘটে থাকে। কারণ যাই হোক, নৌ-দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে হবে।
কমিটি সূত্রে জানা যায়, আরিচায় ল্যান্ড বেইজ ওয়ার্কশপ স্থাপন এবং বিশেষ পরিস্থিতিতে দেশের নৌ-পরিবহন সচল রাখতে জরুরি জ্বালানি সরবরাহ করার জন্য কমপক্ষে দু’টি অয়েল ট্যাংকার রিজার্ভ রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।
এছাড়া খাগড়াছড়ির রামগড়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্থলবন্দর চালুর প্রস্তাব করা হয়। উত্তর ও দক্ষিণে যেসব স্থলবন্দর রয়েছে, সেগুলোর নাম, বর্তমান অবস্থা, সমস্যাবলী এবং এর সমাধানের একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিটির পরবর্তী বৈঠকে দেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে কমিটি সদস্য নৌ-পরিবহন মন্ত্রী মো. শাজাহান খান, মো. আব্দুল হাই, মো. হাবিবর রহমান, এম আব্দুল লতিফ এবং মো. আনোরুল আজীম (আনার) উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৫