খুলনা: খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনের শুরুতে সভাপতি পদ প্রত্যাশী দুই প্রার্থীর অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা এস এম কামাল হোসেন ও জেলা যুবলীগ সভাপতি কামরুজ্জামান জামালসহ উভয়পক্ষের কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জেলা স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়ামে এই কাউন্সিল অধিবেশন হয়।
এসময় কাউন্সিলে সভাপতি প্রার্থী ও বর্তমান সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদ এবং বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এস এম মোস্তফা রশিদী সুজার অনুসারীদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্ব শেষে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কাউন্সিল অধিবেশনের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়।
এ সময় শেখ হারুনুর রশিদ ও এস এম মোস্তফা রশিদী সুজার সমর্থকরা স্ব স্ব নেতার পক্ষে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন।
সুজার সমর্থকরা কাউন্সিলে ভোটের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের দাবি জানান। এক পর্যায়ে কয়েকজন সমর্থক মাঠের পাশে লাগানো শেখ হারুনুর রশিদের কয়েকটি পোস্টার ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে ও ভাঙচুর চালায়।
এর জের ধরে সুজার সমর্থকরা মঞ্চে থাকা জোবায়ের আহমেদ জবার ওপর হামলা চালায়। জবাকে রক্ষা করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় এস এম কামাল হোসেনসহ কয়েক জন আহত হন।
প্রথমে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, সম্মেলনস্থলে কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়েছিল। পরে তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয় এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
আহতদের খুলনা জেনারেল হাসপাতাল ও বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
যোগাযোগ করা হলে সংঘর্ষের বিষয়ে হারুন ও সুজা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
আহত আওয়ামী লীগ নেতা জোবায়ের আহমেদ জবা অভিযোগ করেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা রশিদী সুজার অনুসারীরা এই হামলা চালিয়েছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মো. আবু হানিফ বলেন, মোস্তফা রশিদী সুজার অনুসারীরা কারও ওপর হামলা বা ভাঙচুর করেনি। ভোটের দাবিতে স্লোগান দেওয়া নিয়ে কিছুটা উত্তেজনা দেখা দিলেও কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
দলীয় সূত্র জানায়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম মোস্তফা রশিদী সুজার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল।
আর ওই দ্বন্দ্বের জেরেই এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করে সূত্রটি।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৫