ঢাকা, রবিবার, ২৪ ফাল্গুন ১৪৩১, ০৯ মার্চ ২০২৫, ০৮ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

নারায়ণগঞ্জে বেড়েছে খুন-গণধর্ষণ-অপহরণ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৫
নারায়ণগঞ্জে বেড়েছে খুন-গণধর্ষণ-অপহরণ

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে শিশুখুন, অপহরণ, ধর্ষণ ও গণধর্ষণের মতো ঘটনা।

অপহরণের পর এক শিশুর লাশ উদ্ধার হয়েছে।

আরেক শিশুর চোখ উপড়ানো অবস্থায় গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। চার শিশুকে অপহরণের অভিযোগে এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই লোমহর্ষক ঘটনাগুলো মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচারও হয়েছে।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকার আফসার উদ্দিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া ইব্রাহিম মিয়ার স্ত্রী গার্মেন্টসকর্মী হাসিদা বেগম জোসনাকে রাতভর আটকে রেখে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।

২২ ফেব্রুয়ারি রোববার নারায়ণগঞ্জ শহরের নতুন জিমখানায় চার বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে দেলোয়ার (৬০) নামে এক বৃদ্ধকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

২৩ ফেব্রুয়ারি সদর উপজেলার ফতুল্লায় সুমন নামে সাড়ে ৪ বছরের এক শিশুর চোখ উপড়ানো ও গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত সুমন দাপা ইদ্রাকপুর শাহ জাহান রোলিং মিলস এলাকার শিখার বাড়ির ভাড়াটিয়া শ্রমিক নুরুদ্দিনের ছেলে। সে আগের দিন নিখোঁজ হয়।

একই দিন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মাসদাইর শেরে বাংলা রোডে গৃহকর্মীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ৪ যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতাররা হলেন, ফতুল্লার আফাজনগরের কাজী নজরুল ইসলামের ছেলে কাজী সুমন (২২), ইসদাইরের সিরাজ মিয়ার ছেলে রাব্বী (২০), একই এলাকার সুলতান চৌধুরীর ছেলে ইমরান চৌধুরী (২২) ও আইউব আলীর ছেলে আসিফ (২৫)।   

রূপগঞ্জে সাদমান আপন নামের ৫ বছরের শিশুকে অপহরণের পর শ্বাসরোধে হত্যা শেষে মাটিতে পুঁতে রাখা হয়। হত্যাকাণ্ডের তিনদিন পর ২৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাতে পুলিশ আপনের লাশ উদ্ধার করে।

২৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে। ২৫ ফেব্রুয়ারি ফতুল্লায় দুই স্কুলছাত্রীসহ ৪ মেয়েশিশুকে অপহরণের চেষ্টাকালে এক নারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন জনতা। বুধবার দুপুরে ফতুল্লার পোস্ট অফিস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটক নারী অপহরণকারী মীম শহরের ডনচেম্বার এলাকার মনছুরের স্ত্রী। তার স্বামী মনছুর জেলা পরিষদ কার্যালয় সংলগ্ন এলাকায় ঝুটের (গার্মেন্টেসের পরিত্যক্ত কাপড়) ব্যবসা করেন।

৭ ফেব্রুয়ারি ভোলাইল এলাকায় গার্মেন্টসকর্মী কিশোরীকে (১১) কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাত ১০টায় অজ্ঞাতপরিচয় দুই যুবক হাত-পা চেপে ধরে ছুরির ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে।

১৬ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ সস্তাপুর এলাকায় আবুল কাশেমের ছেলে মাসুদ ভালো চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে রাতে বাসা থেকে ডেকে এনে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এর পর দিন কিশোরীকে মারপিট করে বাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়।

চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে চাঁদপুর জেলার উত্তর মতলব কলসভাঙ্গা থেকে ফতুল্লার ভূঁইঘর এলাকায় ডেকে এনে ১৮ ফেব্রুয়ারি সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে স্বামী দিয়ে ধর্ষণ করানোর অভিযোগে মাকসুদা বেগম নামে এক গার্মেন্টস কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

২৫ জানুয়ারি কোতালেরবাগ এলাকায় এক স্কুলছাত্রী এসএসসি পরীক্ষার্থীকে বাড়ি থেকে অপহরণের পর দুইদিন আটকে রেখে ধর্ষণ করে স্থানীয় বখাটে উজ্জ্বল।

২৭ জানুয়ারি পাগলা চিতাশাল মুসলিমপাড়া এলাকায় টেক্সটাইল মিলের কর্মী এক কর্মী কাজে যাওয়ার সময় ভোরে ফতুল্লা থানা কৃষক লীগের সভাপতি হুমায়ূন কবিরের ছেলে বাপ্পী ও তার বন্ধু জগদীশ ওরফে জগা রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে এক পরিত্যক্ত বাড়িতে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।