ঢাকা: সন্ত্রাসী হামলায় নিহত সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী লেখক অভিজিৎ রায়ের স্ত্রী ব্লগার রাফিদা আহম্মেদ বন্যাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ(ঢামেক) হাসপাতাল থেকে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
ঢামেক হাসপাতাল ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ মোজাম্মেল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ব্লগার রাফিদা আহম্মেদ বন্যা স্বামী অভিজিৎ রায়ের সঙ্গেই সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। জখমের পাশাপাশি তার বৃদ্ধাঙ্গুলও তিনি হারিয়েছেন। তার অবস্থা সংকটাপন্ন বলে ঢামেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে বইমেলা থেকে বের হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন লেখক অভিজিৎ রায়(৩৭) ও তার স্ত্রী। পরে তাদের ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত ১০টা ২০ মিনিটে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অভিজিত মারা যান।
ঘটনাস্থল থেকে একটি স্কুল ব্যাগ এবং দু’টি চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) সিরাজুল ইসলাম।
অভিজিৎ রায় লেখালেখি করেন। তিনি মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ড. অজয় রায়ের ছেলে।
এবার একুশের বইমেলায় দুটি বই প্রকাশ হয়েছে অভিজিতের, সে কারণেই গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরেছিলেন।
তার প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে অবিশ্বাসের দর্শন, ‘আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী’, ‘মহাবিশ্বে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজে’, ‘ভালবাসা কারে কয়’, স্বতন্ত্র ভাবনা : মুক্তচিন্তা ও বুদ্ধির মুক্তি, সমকামিতা : বৈজ্ঞানিক এবং সমাজ-মনস্তাত্ত্বিক অনুসন্ধান।
বাংলাদেশ সময়: ০২২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৫