ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত রাফিদা আহমেদ বন্যাকে যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কনস্যুলার বিভাগের সহায়তা পাচ্ছেন।
বাংলানিউজকে একথা জানিয়েছেন দূতাবাসের মুখোপাত্র মনিকা সাই।
টেলিফোনে তিনি জানান, রাফিদা আহমেদ বন্যা যুক্তরাষ্ট্রের একজন নাগরিক। তাকে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কনস্যুলার থেকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
বন্যাকে কবে যুক্তরাষ্ট্র নেওয়া হচ্ছে সে ব্যাপারে অবশ্য কোনও তথ্য জানাতে চাননি এই মুখোপাত্র।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি একুশে বইমেলা প্রাঙ্গণ থেকে বেরিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলার মুখে পড়েন বন্যা ও তার স্বামী সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী লেখক ব্লগার অভিজিৎ রায়। হামলায় অভিজিৎ নিহত হন। এরা দুজনই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকতাপ্রাপ্ত বাংলাদেশি।
এর আগে নিহত অভিজিতের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. অজয় রায় বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, চিকিৎসার জন্য রাফিদা আহমেদ বন্যাকে নিজ দেশে পাঠানোর সকল ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস।
ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস এরই মধ্যে তাকে সেখানে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে বাংলানিউজকে জানান তিনি। তবে ঠিক কখন তার ফ্লাইট সে ব্যাপারে অজয় রায়ও জানাতে পারেননি।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুরো বিষয়টির সমন্বয় করছে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস।
এদিকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি বন্যাকে সোমবারই হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছে হাসপাতাল সূত্র।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত পৌনে ৯টার দিকে বইমেলা থেকে বের হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন লেখক অভিজিৎ রায় (৪২) ও তার স্ত্রী। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত ১০টা ২০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অভিজিৎ মারা যান। পরে বন্যাকে ঢামেক থেকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময় ১৩০৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০১৫
** আজই যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হচ্ছে অভিজিতের স্ত্রী বন্যাকে
** ‘অভিজিতের স্ত্রী বন্যাকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাচ্ছে দূতাবাস’