ঢাকা: সহপাঠী মৃত্যুর ঘটনায় রাজধানীর আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন রাস্তায় করা অবরোধ তুলে নিয়েছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) শিক্ষার্থীরা। প্রায় চার ঘণ্টা পর তারা এ অবরোধ তুলে নেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের আট দফা দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে তারা এ অবরোধ তুলে নেন।
শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে রয়েছে- নিহত আলিফের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ, পরিবারের সক্ষম সদস্যদের বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি প্রদান, ২ নম্বর গেটের সামনে ওভারব্রিজ নির্মাণ, গেট নির্মাণ, উপযুক্ত চিহ্নসহ স্পিডব্রেকার নির্মাণ ইত্যাদি।
শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষক ও পরামর্শক প্রফেসর সেকেন্দার আলীসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক।
এদিকে দাবি না মানা পযর্ন্ত সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে আলিফের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে মরদেহ আলিফের গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে সকাল দশটায় শেকৃবি শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে আগারগাঁও পাসর্পোট অফিস সংলগ্ন প্রধান সড়কে ১৫-২০টি গাড়ি ভাঙচুর করে ও সড়ক অবরোধ করে।
নিহত শিক্ষার্থীর নাম আলী আহমেদ আলিফ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুরান বিমানবন্দরের প্রবেশ পথের ৯ নম্বর গেটে ( বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেটে) একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে নামার পর পেছন দিক থেকে আসা বিহঙ্গ পরিবহনের বাসের চাপায় গুরুতর আহত হন আলিফ। পরে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আলিফকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আলিফের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়। তিনি ঢাকার বাড্ডায় পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে তিনি পঞ্চম।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০১৫