জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: এনার্জি ড্রিংকস উৎপাদন বা বাজারজাতকরণে মন্ত্রণালয়ের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। কেননা এনার্জি ড্রিংকসে বাংলাদেশ মান (বিডিএস) নেই।
মঙ্গলবার (০৩ মার্চ) জাতীয় সংসদে এম আবদুল লতিফের টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদে এ তথ্য দেন।
প্রশ্নকর্তা মন্ত্রীর কাছে জানতে চান, শক্তি সঞ্চারের নামে মানবদেহে ভয়ঙ্কর রোগের বাহক ঢুকিয়ে দিচ্ছে এনার্জি ড্রিংকস। এছাড়া ২৪টি এনার্জি ড্রিংকসে মিলেছে মাদকের উপাদান। বিএসটিআইয়ের ভুযা লাইসেন্সে বিক্রি হচ্ছে ২৭টি ব্রান্ড। এসব ব্রান্ডের মধ্যে মেশানো হচ্ছে ‘যৌন উত্তেজক ভায়াগ্রার উপাদান’। এভাবে কর ফাঁকি দিয়ে এনার্জি ড্র্রিংকস হয়ে গেছে কোমল পানীয়। এসব অসাধু পন্থার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কি না?
উত্তরে মন্ত্রী বলেন, বিএসটিআই থেকে পণ্যের অনুকূলে গুণগত মান সনদ গ্রহণের জন্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ১৫৫টি বাধ্যতামূলক পণ্যের মধ্যে এনার্জি ড্রিংকস নেই। এটা সফট ড্রিংকসের আওতায়ও নেই। তাই এনার্জি ড্রিংকসে উচ্চ মাত্রার ক্যাফেইন, অপিয়ম পাওয়ার অভিযোগ পেলে বিএসটিআই থেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়। এর বাইরে কিছু করা হয় না।
একই প্রশ্নকর্তার অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পুরান ঢাকার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে কেমিক্যাল প্রতিষ্ঠন সরিয়ে নিতে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে ২০১৪ সালের জুলাই হতে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মেয়াদে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়।
এক হাজার ৪১৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্প ২০১৪ সালের ৩০ জুন শিল্প মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়। প্রকল্পের ওপর ২০১৪ সালের ১৪ আগস্ট সচিবের সভাপতিত্বে যাচাই বাচাই কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভার পর প্রকল্পের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের নিমিত্তে কেমিক্যাল ব্যবসায়ী সমিতির সাথে বিসিক কর্তৃক একটি সমঝোতা স্মরক স্বাক্ষরিত হয়।
এ প্রকল্প বাস্তিবায়িত হলে পুরান ঢাকার প্রায় ৪ হাজার কেমিক্যাল প্রতিষ্ঠান ২০ একর জমিতে নির্মিত ১৭টি ভবনে স্থানান্তরের সুযোগ হবে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ১৫ চিনি কল লোকসানে:
বেগম সানজিদা খানমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, রাষ্ট্রায়ত্ত ১৫ চিনি কলের সবগুলোই লোকসানে। শুধুমাত্র কেরু অ্যান্ড কোং (বিডি) লি. এর ডিস্টিলারি ইউনিটসহ সমন্বিত হিসাব অনুযায়ী কেরু অ্যান্ড কোং (বিডি) লি. লাভজনক প্রতিষ্ঠান।
বর্তমানে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের আওতাধীন ১৫টি সুগার মিলের মধ্যে অধিকাংশ মিলেরই আয়ুষ্কাল অনেক আগেই শেষ হয়েছে। এসব সুগার মিল পর্যায়ক্রমে সুষমকরণ, আধুনিকায়নের মাধ্যমে যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপনের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০১৫