জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: বর্তমানে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে গড়ে ৬ টাকা ৫০ পয়সা ব্যয় হয়। কিন্তু সরকার গরীব মানুষের স্বার্থে ও আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে উৎপাদন মূল্যের চাইতেও কম মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে।
মঙ্গলবার (০৩ মার্চ) জাতীয় সংসদে নুরুন্নবী চৌধুরীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুতের উৎপাদন মূল্য গড়ে ৬ টাকা ৫০ পয়সা হলেও তা সেচ গ্রাহকদের প্রতি ইউনিট ২ টাকা ৫১ পয়সা থেকে ৩ টাকা ৯৬ পয়সায় বিতরণ করা হচ্ছে।
‘ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য ট্যারিফ ৪ টাকা ৯৮ পয়সা। আবাসিক গ্রাহকদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে বিশেষ ট্যারিফ/লাইফ লাইন ট্যারিফ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ শ্রেণির গ্রাহকদের জন্য প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের মূল্যহার ৩ টাকা ৩৩ পয়সা থেকে ৩ টাকা ৭৪ পয়সা,’—যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।
সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, বর্তমানে দেশে দৈনিক আবাসিক খাতে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ব্যবহৃত হয়। এ পর্যন্ত দেশে ২৬টি গ্যাস ফিল্ড আবিষ্কৃত হয়েছে। এরমধ্যে উত্তোলনযোগ্য প্রাথমিক গ্যাস মজুদের পরিমাণ হচ্ছে প্রায় ২৭ দশমিক ১২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট।
‘মজুদ গ্যাসের মধ্যে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ১২ দশমিক ৫৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে। অর্থাৎ ২০১৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত অবশিষ্ট উত্তোলনযোগ্য মজুদ গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ১৪ দশমিক ৫৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট,’—যোগ করেন তিনি।
এ কে এম মাঈদুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে মোট বিদ্যুত উৎপাদনের শতকরা ৬৫ ভাগই প্রাকৃতিক গ্যাস (মিথেন) ব্যবহার করে বিদ্যুত উৎপাদিত হয়।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারে জনসাধারণকে উৎসাহিত করতে এরইমধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা অনুমোদন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই নীতিমালায় ২০১৫ সালের মধ্যে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের শতকরা ৫ ভাগ (৮শ’ মেগাওয়াট) এবং ২০২০ সালের মধ্যে ১০ ভাগ (২ হাজার মেগাওয়াট) নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।
এ লক্ষ্যে সরকার ৫শ’ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, এ পরিকল্পনার আওতায় দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ২০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
এছাড়া বায়ু চালিত বিদ্যুৎ প্লান্ট স্থাপনের লক্ষ্যে উপকূলবর্তী ১৩টি স্থানে ওয়াইন্ড রিসোর্স এসেসমেন্ট-এর কার্যক্রম, কক্সবাজারে ৬০ মেগাওয়াট এবং চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ১০০ মেগাওয়াট বায়ু ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য সালমা ইসলামের এক প্রশ্নের উত্তরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে কাজ করছে সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০১৫
** ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানোর ষড়যন্ত্র করছে খালেদা
** এনার্জি ড্রিংকসে ভায়াগ্রা, করণীয় নেই মন্ত্রণালয়ের