জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: সহিংসতার কাছে মাথানত করলে গণতন্ত্র ও সংবিধান বলে কিছু থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
তিনি বলেন, আগে সহিংসতা বন্ধ করতে হবে, তারপর সংলাপ।
মঙ্গলবার (০৩ মার্চ) রাতে জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, বর্তমানে যে বিষয়টি নিয়ে বির্তক সৃষ্টি হয়েছে। তার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। নবম সংসদে আমরা যখন সংবিধান সংশোধন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছিলাম। তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাখার জন্যই কাজ করছিলাম। কিন্তু রিপোর্ট চূড়ান্ত হওয়ার কিছুদিন আগে উচ্চ আদলতের রায় আসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বে-আইনি। যদিও রায়ে বলা হয়েছিল সংসদ চাইলে আরও দুই দফায় তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা রাখা যাবে। কিন্তু প্রধান বিচারপতিকে তত্ত্বাবধায়কের প্রধান করা যাবে না। আমরা তখন বাধ্য হয়ে সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাদ দিয়েছি। আমরা বিচার বিভাগকে সম্মান দেখাতে গিয়েই এ কাজটি করেছি।
তিনি বলেন, আজ যদি বোমাবাজির মাধ্যমে একটি সরকার, একটি সংবিধান পরিবর্তন করা যায়। তাহলে ভবিষতে কারো বাড়ি, কারো সম্পদ থাকবে না। একটি ককটেল বোমা দিয়ে বাড়ি দখল করে নেবে।
পানিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, যদি সহিংসতার কাছে মাথানত করা হয়, তবে স্বাধীনতা যুদ্ধের উদ্দেশ্য, গণতন্ত্র ও সংবিধান বলে কিছু থাকবে না। ছোট্ট ছোট্ট বোমা নিয়ে রাস্তায় নামবে, আর সুশীল সমাজ বলবে আলোচনা করা দরকার কিভাবে সরকার পরিবর্তন করা যায়।
সুশীলদের প্রতি প্রশ্ন রেখে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, সুশীলরা যদি আগে বলতো বোমাবাজি বন্ধ করতে হবে, শিশুদের মারবেন না, পরীক্ষা বন্ধ করবেন না, কিন্তু তারা সেটা বলেননি। আজ তারা যে সংলাপের কথা বলছেন আমি তার পক্ষে। তবে আগে বোমাবাজি, সহিংসতা বন্ধ করুন। তারপর সংলাপে বসবো। কিন্তু সংলাপে বসবো কী নিয়ে? বাতিল হয়ে যাওয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে নয়। আলোচনা করতে হবে সংবিধানের মধ্যে থেকে। সহিংসতা আর গণতন্ত্র এক সঙ্গে চলতে পারে না। সহিংসতা দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায় না।
তিনি বলেন, কোনো কোনো পত্রিকায় দেখেছি লেখা হয়েছে সিদ্ধান্ত আসছে দেশের বাইরে থেকে। আমাদের এখন ভাবতে হবে। বিষয়টি নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। আমাদের দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে ভালো করছে। এটা অনেকে চায় না। অনেকে সহ্য করতে পারছেন না। তাই তারা ষড়যন্ত্র করছেন।
নিজ দলের অতীত স্মরণ করে তিনি বলেন, ৯০’র পর আমরা যখন জেলে ছিলাম তখনও আমাদের দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। আমরা নির্বাচনমুখী দল। আমরা তো তখন বলিনি লেভেল প্লেইং ফিল্ড দিতে হবে। ৯৬’তে পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ নির্বাচন করতে পারেননি। কিন্তু তখনও আমরা নির্বাচন বর্জন না করে নির্বাচন করেছি। আমাদের সরকারে থাকা নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেন। জার্মানি একটি প্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক দেশ। সেখানে দুটি বড় দল কোয়ালিশন করে সরকার গঠন করেছে।
এ সময় তিনি নিজ মন্ত্রণালয়ের তথ্য তুলে ধরে বলেন, আমরা আশা করছি অচিরেই তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০১৫
** যুব সংগঠন বিল সংসদে উত্থাপিত
** এক ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যয় সাড়ে ৬ টাকা
** ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানোর ষড়যন্ত্র করছে খালেদা
** এনার্জি ড্রিংকসে ভায়াগ্রা, করণীয় নেই মন্ত্রণালয়ে