ঢাকা, শুক্রবার, ১০ মাঘ ১৪৩১, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

১২৪ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার

‘আলোচিত’ সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী গ্রেফতার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩০ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০১৫
‘আলোচিত’ সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী গ্রেফতার

ঢাকা: হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১২৪ কেজি স্বর্ণ উদ্ধারের ঘটনায় আব্দুল বারেক তরফদার নামে এক সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (০৩ মার্চ) রাতে বিমানবন্দর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।



এ নিয়ে আলোচিত ওই ঘটনায় এজহারভুক্তসহ মোট ছয় আসামিকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।   তবে এই মামলার এজাহারভুক্ত বিমানের কর্মকর্তাসহ ১০ আসামি এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছেন।  

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর বিভাগ) সহকারী কমিশনার ডা. মঞ্জুর মোর্শেদ আব্দুল বারেক তরফদার গ্রেফতার হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ২৪ জুলাই বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট বিজি ৭০২ এয়ারক্রাফট এস-২ এডিএফ থেকে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ জব্দ করা হয়। যা শাহজালালের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় স্বর্ণ চালান।

এ ঘটনার শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক মইনুল খানকে প্রধান করে চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

তদন্তে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১০ কর্মকর্তার নাম উঠে আসে। পরবর্তীতে শুল্ক বিভাগের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোস্তফা জামান বাদী হয়ে গত বছরের ৫ ডিসেম্বর বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা করেন।

মামলার আসামিরা হলেন, বাংলাদেশ বিমানের সুইপিং সুপারভাইজার আবু জাফর, এয়ারক্রাফট মেকানিক মাসুদ, সিকিউরিটি অফিসার কামরুল হাসান, ইঞ্জিনিয়ারিং অফিসার সালেহ আহমেদ, মজিবর রহমান, অ্যাসিস্ট্যান্ট এয়ারক্রাফট মেকানিক আনিস উদ্দিন ভূঁইয়া, প্রকৌশল হ্যাঙ্গারের মেকানিক ওসমান গণি এবং জুনিয়র ইন্সপেকশন অফিসার শাহাজাহান সিরাজ, রায়হান আলী ও মাকসুদ।

অন্য চারজন হলেন-নেপালের নাগরিক গৌরাঙ্গ রোসান, ভারতীয় নাগরিক জেসন প্রিন্স, বাংলাদেশের এসএস কার্গোর  চেয়ানম্যান মিলন শিকদার ও জসীম উদ্দিন।

গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, মামলার পর বিমানের কর্মকর্তা এজাহারনামীয় আসামি এয়ারক্র্যাফট মেকানিক ইঞ্জিনিয়ার আনিস, মজিবুর রহমান, শাজাহান সিরাজ ও এসএস কার্গোর চেয়ারম্যান মিলন শিকদারকে গ্রেফতর করা হয়।

পরে মিলনের দেওয়া তথ্য ও আদালতে স্বীকারোক্তিতে আব্দুল বারেক তরফদার ও মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ী সালেহ আহমেদের নাম আসে। কিন্তু ওই সময় সালেহ আহমেদকে গ্রেফতার করা হলেও পালিয়ে ছিলেন সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী শাহজালাল বিমানবন্দরের এবি তরফদার সিএন্ডএফ এজেন্ট ও জেপি এক্সপ্রেস সিএন্ডএফ এর পরিচালক আব্দুল বারেক তরফদার। এরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ জানায়, মামলার এজাহারভুক্ত অন্য ১০ আসামি এখনও পলাতক রয়েছেন। এরমধ্যে নেপালি নাগরিক গৌরাঙ্গ রোসান ও ভারতীয় নাগরিক জেমস প্রিন্স ছাড়া বাকি সবাই বিমানের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা।

ডিএমপির সহকারী কমিশনার ডা. মঞ্জুর মোর্শেদ বাংলানিউজকে বলেন, এজহারভুক্ত অন্য আসামিরা গা-ঢাকা দিয়েছেন। তবে আমরা তৎপর রয়েছি।

‘এই মামলায় মিলন শিকদারের আদালতের স্বীকারোক্তিতে আমরা আরো কিছু নাম পেয়েছি। যা এজাহারে উল্লেখ নেই তাদেরও গ্রেফতারে সচেষ্ট রয়েছি,’—যোগ করেন তিনি।

গ্রেফতার আব্দুল বারেক তরফদারকে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান এসি ড. মঞ্জুর মোর্শেদ।

তিনি বলেন, আদালত আব্দুল বারেক তরফদারের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০১৫।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।