কুষ্টিয়া: ভেড়ামারায় অবস্থিত হার্ডিঞ্জ ব্রিজের ১০০ বছর অতিক্রম করায় (৪ মার্চ)বুধবার দুপুর ২টার সময় হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নিচে একাধিক সংগঠন নানা কমসূচি গ্রহণ করেছে।
১৯১৫ খ্রিস্টাব্দের ৪ মার্চ ব্রিটিশ ভারতের লর্ড হার্ডিঞ্জ একটি যাত্রীবাহী ট্রেনে ব্রিজ অতিক্রম করে এর শুভ উদ্বোধন করেন।
ঐতিহ্যবাহী হার্ডিঞ্জ ব্রিজের শতবর্ষ পূর্তি উৎসব উদযাপন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক হাসানুজ্জামানের সঞ্চালনায় কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন- ৪ মার্চ বুধবার হার্ডিঞ্জ ব্রিজ শতবর্ষে পদার্পণ করতে যাচ্ছে।
দিসবটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ওইদিন হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাদদেশে শতবর্ষের কেক কাটা, আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ১৮৮৯ সালে ব্রিটিশ সরকার ভারত উপমহাদেশের রেল যোগাযোগের ব্যাপকতা বৃদ্ধির লক্ষে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পদ্মা নদীর ওপর রেল সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করে।
বিশেষ করে ভারতের দার্জিলিং ও ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে যাতায়াতের সুবিধার্থে বাংলাদেশের কুষ্টিয়া ও পাবনা জেলার সীমারেখা পদ্মা নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করে।
১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় পাকহানাদার বাহিনী ব্রিজটির ওপর একাধিক বোমা বর্ষণ করে। ফলে, পিলারের ওপর থেকে ১২নং স্প্যান (গার্ডার)টির এক প্রান্ত নদীর মাঝে পড়ে যায়। ৯নং স্প্যানটির নিচের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
পাকিস্তানি বাহিনীকে দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ না করতে দেওয়ার কৌশলগত কারণে পিলারের ওপরে এবং গার্ডারের নিচে ডিনামাইন্ড বসিয়ে ওপর থেকে বোমা মেরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। ফলে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
পরে ব্রিজটি মেরামত করা হয়। মেরামতকৃত গার্ডারটি বর্তমানে কিছুটা দেবে গেছে, ফলে ট্রেন ইঞ্জিনের চালকরা গাড়ির গতি কমিয়ে ব্রিজ পারাপার হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৫