বগুড়া: ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগসহ ব্যাপক নাশকতার আশঙ্কায় বগুড়া থেকে দূরপাল্লার কোনো যান ছেড়ে যাচ্ছেনা। খালেদা জিয়া গ্রেফতার হলে যেকোনো সময় পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হতে পারে, এমন আশঙ্কায় মালিক ও পরিবহন শ্রমিকরা মহাসড়কে গাড়ি বের করতে সাহস পাচ্ছেন না।
বুধবার (০৪ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত শহরের ঠনঠনিয়া আন্তঃজেলা কোচ টার্মিনাল এবং চারমাথা আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল ঘুরে এ চিত্র পাওয়া যায়।
এসআর ট্রাভেলস, শ্যামলী পরিবহন, টিআর ট্রাভেলস, একতা পরিবহন, হানিফ পরিবহনসহ বেশ কয়েকটি টিকিট কাউন্টার ঘুরো জানা যায়, খালেদা জিয়া গ্রেফতার হলে দেশের পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হতে পারে, এমন আশঙ্কায় বগুড়া থেকে ঢাকামুখী গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
পরিবহন শ্রমিকরা বলেন, যতই বলুক না কেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এখন পর্যন্ত ভাঙচুর বা অগ্নিসংযোগ থেকে যানবাহনকে নিরাপদে রাখতে পারেনি। নিজেদের যানবাহন যতটা সম্ভব নিজেদেরকেই নিরাপদে রাখতে হবে।
মো. তোফাজ্জল নামে এক যাত্রী জানান, পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী বুধবার রাতের ফ্লাইটে মালেশিয়ার উদ্দ্যেশ্যে ঢাকা ছাড়তে হবে। তাই টিআর ট্রাভেলসের টিকিট নেওয়া ছিল। সকালে ঠনঠনিয়া কাউন্টারে পৌঁছানোর পর জানানো হয়, ঢাকামুখী গাড়ি ছাড়বে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মালিক-শ্রমিকরা।
বগুড়া জেলা মোটর মালিক গ্রুপের সভাপতি আকতারুজ্জামান ডিউকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।
তবে বগুড়া জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল মোর্শেদ আপেল জানান, বুধবার খালেদা জিয়ার বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত হতে পারে। এতে পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হতে পারে, এমন আশঙ্কায় ঢাকামুখী গাড়িগুলো বগুড়া ছাড়ছে না। তবে চারমাথা আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে লোকাল কিছু গাড়ি চলাচল করেছে।
এর আগে বগুড়া জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল লতিফ মণ্ডল বাংলানিউজকে জানান, একের পর এক গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করলে কীভাবে গাড়ি চালানো সম্ভব। এছাড়া খালেদা জিয়ার গ্রেফতার হওয়া না হওয়ার ওপর নির্ভর করছে গাড়ি চলাচলের বিষয়।
যদিও গাড়ি বন্ধ রাখার বিষয়ে লিখিত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, তবুও আতঙ্কের কারণে গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৫