ঢাকা: বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের সীমান্ত ও আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬৪ কোটি ২৪ লাখ ৯১ হাজার ২শ’ ৪৫ টাকার বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান ও মাদকদ্রব্য আটক করছে।
বিজিবি পিলখানা সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ মোহসিন রেজা বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, সীমান্তে ও এর আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুরো ফেব্রুয়ারি মাসে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ও চোরাচালানি পণ্য জব্দ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, জব্দ করা অন্তর্মুখী চোরাচালানের আর্থিক মূল্য ৫৯ কোটি ৪ লাখ ৩৬ হাজার ৬শ’ ৮৫ টাকা এবং বহির্মুখী চোরাচালানের আর্থিক মূল্য ৫ কোটি ২০ লাখ ৫৪ হাজার ৫শ’ ৬০ টাকা।
আটক মাদকের মধ্যে রয়েছে ৪০ হাজার ৩শ’ ৮১ বোতল ফেনসিডিল, ৬ লাখ ১৪ হাজার ৩শ’ ১৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ১ লাখ ২ হাজার ৪শ’ ১১টি যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট, ২৩ হাজার ২শ’ ৭০ বোতল বিদেশি মদ, ১ হাজার ৯৬ লিটার স্থানীয় (দেশীয়) মদ, ১ হাজার ৬৯ ক্যান বিয়ার, ৫শ’ ৮১ কেজি গাঁজা, ২ কেজি ৫শ’ ৪৫ গ্রাম হেরোইন, ২ হাজার ৯শ’ ৮৬টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন এবং ২ লাখ ৮৮ হাজার ৮শ’ ১৯টি বিভিন্ন ধরনের ট্যাবলেট।
একই মাসে বিজিবির অভিযানে উদ্ধার অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৮টি পিস্তল, ৬টি বন্দুক, ৪টি ম্যাগজিন, ৩টি ককটেল ও ৩৬ রাউন্ড গুলি।
ফেব্রুয়ারি মাসে বিজিবির অভিযানে সীমান্তে অবৈধ পারাপার ও চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ২শ’ ১০ জনকে আটক করে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। চোরাচালান মামলা দায়ের করা হয়েছে ২ হাজার ৩শ’ ৫৮টি।
এছাড়া অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের সময় ১ হাজার ৩শ’ ৩০ জনকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে ৭৪ জন বাংলাদেশিকে আটক করে থানায় সোপর্দ, ভারতীয় ১০ জনের মধ্যে ৯ জনকে স্বদেশে ফেরত এবং ১ জনকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
অপরদিকে মায়ানমারের ১ হাজার ২শ’ ১৬ জন নাগরিককে আটক করে স্বদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এ ছাড়াও একই মাসে ২৩ জন নারী ও ৭ জন শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত মামলা দায়ের করা হয়েছে ১০টি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৫