বাগেরহাট: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পুলিশ ও বনবিভাগের যৌথ অভিযানে পাঁচটি হরিণের চামড়া ও একটি গন্ধগোকুলের চামড়া উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (০৪ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার উপজেলার কচুবুনিয়া গ্রাম থেকে এসব চামড়া উদ্ধার করা হয়।
এ সময় আব্দুর রশিদ শেখ নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তিনি মোরেলগঞ্জ উপজেলার পুঁটিখালী ইউনিয়নের পুঁটিখালী গ্রামের আনোয়ার শেখের ছেলে।
উদ্ধার হওয়া হরিণের চামড়াগুলো লম্বায় ৩/৪ ফুট এবং গন্ধগোকুলের চামড়া তিন ফুট লম্বা। হরিণগুলো প্রাপ্ত বয়স্ক ছিল বলে জানা গেছে।
সন্ধ্যায় বাগেরহাট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জাহিদুর রহমান এসব তথ্য জানান।
এএসপি জানান, পাচারকারী একটি চক্র সুন্দরবন থেকে শিকার করে নিয়ে আসা হরিণ ও গন্ধগোকুলের চামড়া বিক্রি করতে নিয়ে যাচ্ছে -এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বনবিভাগ ও জেলা পুলিশের একটি দল যৌথভাবে মোরেলগঞ্জের কচুবুনিয়া এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় আব্দুর রশিদ নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
পরে, তার কাছে থাকা প্লাস্টিকের বস্তা থেকে পাঁচটি হরিণের চামড়া এবং একটি গন্ধগোকুলের চামড়া উদ্ধার করা হয়। ঢাকার একটি পাচারকারী চক্রের কাছে চামড়াগুলো বিক্রি করতে নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন তিনি।
বনবিভাগের বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের পরিদর্শক অসীম মল্লিক জানান, বাগেরহাটের একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবনের বিরল প্রজাতির হরিণ ও বাঘ হত্যা করে এর চামড়া সংগ্রহ করে বিক্রি করে আসছে। এই চক্রটিকে ধরতে বনবিভাগ নজরদারি করে আসছিল।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ও বনবিভাগ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে পাচারকারী চক্রের অন্যতম সদস্য রশিদকে আটক করে। এ চক্রের অন্য সদস্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরো বলেন, উদ্ধার হওয়া চামড়ার মধ্যে হরিণগুলো অন্তত এক মাস আগে এবং বিরল প্রজাতির গন্ধগোকুলটি এক সপ্তাহ আগে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৫