ঢাকা, শনিবার, ১০ মাঘ ১৪৩১, ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২৪ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া ব্যাংক সেবার দিন শেষ

ইকরাম-উদ দৌলা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪২ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০১৫
জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া ব্যাংক সেবার দিন শেষ ছবি: প্রতীকী

ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের পর এবার দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের সাথেই জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তথ্য ভাণ্ডার শেয়ারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে অদূর ভবিষতে এনআইডি কার্ড ছাড়া আর কোনো ব্যাংক সেবাই পাওয়া যাবে না।


 
সূত্র জানিয়েছে, নাগরিকের সম্পদ ও সেবার নিরাপত্তা প্রদানের স্বার্থে দেশের রাষ্ট্রায়াত্ত-বেসরকারি তফসিলি ব্যাংকগুলো ইসির ডাটা সেন্টারের তথ্য ব্যবহার করার ইচ্ছা পোষণ করছে। নির্বাচন কমিশনও তাদের ইচ্ছাকে স্বাগত জানানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এ নিয়ে কমিশন ত্রি-পক্ষীয় একটি চুক্তি সম্পাদনের কথাও ভাবছে।
 
জানা গেছে, বর্তমানে ইসির তথ্য ভাণ্ডার বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যবহার করছে। এতে ইসির তথ্য নিয়ে একটি নিজস্ব ডাটা সেন্টার করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর অন্য ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভার থেকে তথ্য নেবে। তথ্য নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে একটি নির্দিষ্ট অংকের অর্থ পরিশোধ করতে হবে।
 
আগামী ৯ মার্চ ত্রি-পক্ষীয় চুক্তির বিষয়টি চূড়ান্ত করার জন্যে একটি কমিশন বৈঠকও আহ্বান করেছে ইসি সচিবালয়। ওইদিন চুক্তিটির বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে বৈঠকে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাকে উপস্থিত থাকার জন্যে বুধবার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
 
এ বিষয়ে ইসির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন উপ-সচিব বাংলানিউজকে বলেন, ত্রি-পক্ষীয় চুক্তিটি হলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো তাদের সেবাগ্রহীতার দেয়া তথ্য, এনআইডির তথ্য ভাণ্ডারের তথ্য থেকে যাচাই করবে। ফলে যাদের এনআইডি কার্ড না থাকবে তারা আর কোনো সেবাই পাবেননা। তবে এতে ব্যাংক সেবায় নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
 
বর্তমানে এনআইডি’র পাশাপাশি জন্ম নিবন্ধন, পাসপোর্টসহ অন্য পরিচয়পত্র দিয়েও ব্যাংকে সেবা পাওয়া যায়।
 
ইসির তথ্য ভাণ্ডার বর্তমানে পাসপোর্ট অধিদফতর এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডও ব্যবহার করছে।
 
২০০৭ সালে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের উদ্যোগ নেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বর্তমানে দেশের ৯ কোটি ২০ লাখ নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্র আছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।