বান্দরবান: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুর্শিদা বেগম (১৩)।
বৃহস্পতিবার সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সাফায়াত মুহাম্মদ শাহেদুল ইসলামের নির্দেশে এ বিয়ে বন্ধ করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, বাইশারী ইউনিয়নের বাসিন্দা আজগর আলীর মেয়ে মুর্শিদা বেগমের সঙ্গে একই ইউনিয়নের লম্বাবিল গ্রামের বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী আবদু নবীর ছেলে মো. আলমের (৩৫) বিয়ে ঠিক হয়।
শুক্রবার (৬ মার্চ) তাদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। বিয়ের সব প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছিল উভয় পরিবার। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ইউএনও ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হকের হস্তক্ষেপে জেল-জরিমানার আগেই বিয়ে বন্ধের নির্দেশ দেন।
এদিকে, জনপ্রতিনিধি ও ইউপি সচিবরা অর্থের বিনিময়ে জন্ম নিবন্ধনে বয়স বাড়িয়ে প্রবাসী বর এবং প্রভাবশালী পরিবারে মেয়ের বিয়ে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
নাইক্ষ্যংছড়ির ইউএনও আবু সাফায়াত মুহাম্মদ শাহেদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, উভয় পরিবারকে মেয়ের বয়স পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ এখনো সচেতন না বলে বাল্যবিয়ে প্রথা চালু রয়েছে। এ ধরনের অপরাধ বন্ধে প্রশাসন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৫