মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা থেকে অপহরণের ৩৫ ঘণ্টা পর ছয় লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে অপহৃত শিশু রিমাকে (৩) উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (৪ মার্চ) মধ্যরাত একটার দিকে নারায়ণগঞ্জের মদনপুর এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
এ সময় অপরহণকারী দলের সদস্য ফরিদা বেগম (৪৫) নামে এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের রাতেই গজারিয়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে শিশু রিমার মা লিজা বেগম থানায় ছুটে যাওয়ার পর বর্তমানে মাসহ শিশুটি থানা হেফাজতে রয়েছে।
অন্যদিকে, শিশু উদ্ধার হওয়ার পর মুক্তিপণ দেওয়া ছয় লাখ টাকা উদ্ধারে অপরহণকারী দলের সদস্য ফরিদা বেগমকে নিয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। এক লাখ টাকার প্রলোভনে ফরিদা আক্তার অপহরণের ঘটনায় জড়িত হয় বলে জানা গেছে।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফেরদৌস হোসেন জানান, অপহরণকারীদের মুক্তিপণের টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা নেওয়ার জন্য নারায়ণগঞ্জের মদনপুর এলাকায় যেতে বলে পুলিশ। এতে অপহরণকারী দলের এক সদস্য সেখানে গিয়ে মুক্তিপণের ছয় লাখ টাকা নিয়ে চলে যায়।
এরপর অপর সদস্য ফরিদা বেগম অপহৃত শিশু রিমাকে ফিরিয়ে দিতে গেলে পুলিশ সদস্যরা তাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত ফরিদা সর্ম্পকে শিশু রিমার ফুফু।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার ফরিদা জানান, অপহরণকারী দলের সদস্যদের সঙ্গে ফরিদা বেগমের এক লাখ টাকার চুক্তি হয়। এক লাখ টাকার প্রলোভনে তিনি অপহরণ কাজে জড়িত হন। তবে গ্রেফতার হয়ে যাওয়ায় এখনও তিনি টাকা পাননি।
ওসি জানান, অপহরণকারীদের নাম পরিচয় সনাক্ত করা হয়েছে। তবে গ্রেফতার করতে আসামিদের নাম গোপন রাখা হয়েছে। এখন ফরিদাকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে মুক্তিপণের ছয় লাখ টাকা উদ্ধার ও অপর আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া শিশু রিমা এখনও পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মা-বাবার কাছে হস্তান্তর করা হবে।
মঙ্গলবার (৩ মার্চ) বিকেলে গজারিয়া উপজেলার বক্তারকান্দি গ্রাম থেকে সৌদি প্রবাসী রোকন প্রধানের তিন বছরের কন্যা রুহানা আক্তার রিমাকে অপহরণ করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এ ঘটনায় শিশুর মা লিজা বেগম বাদী হয়ে বুধবার বিকেলে গজারিয়া থানায় অভিযোগ দাখিল করেন। ওই দিন রাতেই থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৫