ঢাকা, রবিবার, ১২ মাঘ ১৪৩১, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২৫ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে এসআই প্রত্যাহার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০২ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০১৫
স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে এসআই প্রত্যাহার প্রতীকী

বরিশাল: স্ত্রীকে তিন মাস বাসায় আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ বরিশাল মেট্রোপলিটন কাউনিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওয়ারেসকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৫ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) সেলিম রেজা বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।



এর আগে, দুপুরে মহানগরের কাউনিয়া থানাধীন চৌধুরী পাড়ার রহিম সাহেবের আবাসিক ভবনের নীচতলার একটি তালাবদ্ধ ফ্লাট থেকে এসআই ওয়ারেসের স্ত্রীকে বন্দিদশা থেকে উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারের সময় ওসি সেলিম রেজা, এসআই শাহীনসহ থানা পুলিশের একাধিক সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির বরিশাল বিভাগীয় প্রধান অ্যাডভোকেট মুনিরা বেগম উপস্থিত ছিলেন।

অ্যাডভোকেট মুনিরা বেগম জানান, নির্যাতিতার মা মাহামুদা বেগম তাদের কার্যালয়ে এসে মেয়ের ওপর নির্যাতনের বিষয়টি জানান। এরপর তারা লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে এসে ফ্লাটটিতে বাহির থেকে তালাবদ্ধ দেখতে পান।

এ সময় তারা এসআই’র স্ত্রীর সঙ্গে বাহির থেকে কথা বলে নির্যাতনের বিষয়টিতে আরো নিশ্চিত হন। পরে থানা পুলিশ এসআই ওয়ারেসকে ডেকে এনে তালা খুলে তার স্ত্রীকে উদ্ধার করে।

তবে, এ সময় নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করে এসআই ওয়ারেস দাবি করেন, এটি পারিবারিক কলহ। শশুরবাড়ির লোকজন সামাজিকভাবে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতেই এমনটি করেছেন।

এদিকে নির্যাতিতা এসআই’র স্ত্রী জানান, তাকে গত তিন মাস ধরে বাসায় আটকে রাখেন ওয়ারেস। বিভিন্ন বিষয়ে গালিগালাজসহ শারীরিক নির্যাতন করে আসছেন।

তার মা মাহামুদা বেগম জানান, বছর দেড়েক আগে একটি জমিসংক্রান্ত মামলায় তদন্ত করতে গিয়ে তার মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিবাহ করেন এসআই ওয়ারেছ।

ওই সময় তিনি নগরীর শের-ই-বাংলা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন সময় তার ওপর চালানো হতো নির্যাতন। এর আগে নির্যাতনের শিকার হয়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তিও হতে হয়।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার শাহনাজ পারভিন জানান, মেয়েটি এখন পর্যন্ত নাবালিকা বলে দাবি করেছেন তার মা। ঘটনার পর মেয়েটিকে তার মা নিজের জিম্মায় নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। এ বিষয়ে তিনি এখনো কোনো মামলা দায়ের করেননি।

পরে, রাত ৮টার দিকে জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির কেকা আনসারী জানিয়েছেন, পুলিশ মেয়েটিকে তার মায়ের জিম্মায় দিয়ে দিয়েছে। মেয়েটিকে আইনি সহায়তাসহ সব ধরনের সহায়তা করা  হবে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২২০২ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৫ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।