ঢাকা: সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে মৌখিক পরীক্ষার পাশাপাশি লিখিত পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। নিয়োগে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জন্য এ সংক্রান্ত কার্যক্রম গ্রহণ করেছে সরকার।
সরকারি কর্ম কমিশনের(পিএসসি) উদ্যোগের পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বিষয়টি চূড়ান্ত করেছে। এখন সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর/পরিদপ্তরে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে একটি সার্বজনীন নির্দেশনা জারির প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য গত ১১ জানুয়ারি অনুরোধ করে চিঠি দেয় পিএসসি।
বর্তমানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে শুধু মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করে নির্বাচন করে থাকে। কোন কোন ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পিএসসির পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, শুধু মৌখিক পরীক্ষায় প্রার্থী নির্বাচন করায় মেধার মূল্যায়ন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রশ্ন উঠে।
‘বাংলাদেশ সচিবালয়(ক্যাডার বর্হিভূত গেজেটেড কর্মকর্তা এবং নন-গেজেটেড কর্মচারী) নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৪’র তফসিল-৬ অনুযায়ী চতুর্থ শ্রেণিতে নিয়োগে লিখিত পরীক্ষার নির্দেশনা রয়েছে।
এছাড়া জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৩ সালের ৫ মে জারি করা একটি স্মারকপত্রে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে টেকনিক্যাল পদ ছাড়া সাধারণ ও অন্যান্য সকল পদে লিখিত পরীক্ষা ৭০ শতাংশ এবং মৌখিক পরীক্ষায় ৩০ শতাংশ নম্বর নির্ধারণ করে দেয়।
তবে একই বছরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২৭ জুনের আরেকটি পত্রে বলা হয়, পদের প্রকৃতি বিবেচনা করে চতুর্থ শ্রেণিতে লিখিত পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা নেই। লিখিত পরীক্ষা গ্রহণ সংশ্লিষ্ট নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের ইচ্ছাধীন।
লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়টি সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, তৃতীয় শ্রেণির পদের ন্যায় চতৃর্থ শ্রেণির পদে নিয়োগে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা আবশ্যক হবে। এতে প্রার্থী নিয়োগে স্বচ্ছতার পাশাপাশি মেধার সঠিক মূল্যায়ন ঘটবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৫