ঢাকা, বুধবার, ১৫ মাঘ ১৪৩১, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ২৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

সোয়াইন ফ্লু’র ওষুধ সংকট!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০১৫
সোয়াইন ফ্লু’র ওষুধ সংকট!

ঢাকা: দেশে ১ হাজার কোর্স পরিমাণে সোয়াইন ফ্লু (এইচ১এন১) এর ওষুধ বিদ্যমান রয়েছে। প্রতি কোর্সে ১০টি ওষুধ রয়েছে।

২০০৯ সালে সোয়াইন ফ্লু বিস্তারের সময় যে পরিমাণ ওষুধ কেনা হয়েছিল বর্তমানে সেগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে।

শনিবার(৭ মার্চ’ ২০১৫) সকালে এক প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামে এ কথা জানান, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এর পরিচালক অধ্যাপক
মাহমুদুর রহমান।

তিনি বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে প্রয়োজনীয় ওষুধ মজুদের প্রয়োজন। তবে অডিট থেকে বলা হচ্ছে, ২০০৯ এর এতো ওষুধ অব্যবহৃত কেন? আসলে, এসব ওষুধের মেয়াদ ছিল কম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত কোম্পানির ওষুধ কেনার প্রক্রিয়া চলছে।

বিদেশি কোম্পানি ‘রোস’ এর দিকেই নজর আইইডিসিআর’এর। যেগুলোর মেয়াদ ৫ থেকে ৭ বছর।

মাহমুদুর রহমান বলেন, তবে দেশি কোম্পানিও ওষুধ তৈরি করছে। সেগুলোর মেয়াদকাল এখনো জানা যায়নি। তবে ইনফ্লুয়েঞ্জা মোকাবেলার মতো ভ্যাক্সিন দেশে রয়েছে। যেসব ভ্যাক্সিন এইচ১এন১ কেও প্রতিরোধ করবে। ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে এসব ভ্যাক্সিন। এক বছর পর্যন্ত আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা থেকে কিছুটা নিরাপদে থাকেন ভ্যাক্সিনগ্রহণকারী।
 
তবে সোয়াইন ফ্লু’র লক্ষণ অনুযায়ী কেউ জ্বর বা সর্দিতে আক্রান্ত হলেই ভীতির কারণ নেই। লক্ষণ ছাড়াও অনেকগুলো প্রভাবক থাকে। যেমন, গত দশ দিনের গতিবিধি। আর আইইডিসিআর থেকে বলা হলেই বা  লক্ষণ দেখা দিলেই পরীক্ষা করতে হবে। আর ইনফ্লুয়েঞ্জা যখন অনেক ছড়িয়ে যায়, তখন পরীক্ষার চেয়ে ওষুধ প্রয়োগই ভাল।
 
তবে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতের এলাকাগুলোতে এখনো সোয়াইন ফ্লু’র পরিস্থিতি উদ্বেগজনক নয় বলেও জানান মাহমুদুর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১৫/আপডেটেড- ১৭১২ ঘণ্টা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।