ঢাকা, বুধবার, ১৫ মাঘ ১৪৩১, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ২৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

সরকার পরীক্ষাকালীন জরুরি অবস্থা দিতে পারতো

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২০ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০১৫
সরকার পরীক্ষাকালীন জরুরি অবস্থা দিতে পারতো ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: পরীক্ষার সময় সরকার প্রয়োজনে জরুরি অবস্থা জারি করে হরতাল-অবরোধের মত কর্মসূচি অবৈধ ঘোষণা করতে পারতো বলে মনে করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে শনিবার(৭ মার্চ’২০১৫) অভিভাবক হিসেবে এসে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।



মিজানুর রহমান বলেন, একজন অভিভাবক হিসেবে শুধু বলতে পারি যে, আমাদের ছেলেমেয়েরা যখন পরীক্ষা দিচ্ছে, তারা মানসিক অশান্তিতে রয়েছে এবং এক ধরনের মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদের যে প্রস্তুতি তা নষ্ট হয়ে গেছে। তাদের বাড়তি চাপ দিতে পারছি না। তাদের মানসিক ব্যাপার আছে, তাকে অবহেলা ও অগ্রাহ্য করতে পারেন না। তার ভেতর দিয়ে কিন্তু আমাদের ছেলেমেয়েরা যাচ্ছে। এতে করে আমার মনে হয় দীর্ঘকালীন সময় তাদের মনস্তাত্বিক অসুস্থতার লক্ষণ তাদের ভিতরে আমরা গেঁথে দিয়েছি। এটা জাতি ও ভবিষতের জন্য মূল্য দিতে হবে।

এটা কোনরূপে কী প্রকৃতিতে হবে সেটা জানি না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা যে জাতির জন্য কল্যাণকর, শুভকর নয়- সেটা যে কোন সাধারণ মানুষের বুঝতে কষ্ট হবার কথা নয়।

সরকারের করণীয় সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা সব সময় মনে করেছি, সরকার আরও বোধহয় এই ব্যাপারে (পরীক্ষা) বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারতো। বিশেষ করে আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়েছে, পরীক্ষার সময়টা প্রয়োজন বোধে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা। যে পরীক্ষাকালীন সময়ে হরতাল-অবরোধ এগুলোকে অবৈধ ঘোষণা করা হোক। আমার মনে হয়, সরকার বা রাষ্ট্র এটা করতে পারতো। এতে করলে আমার মনে হয়, সাধারণ মানুষ, অভিভাবক, ছাত্রছাত্রীরা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতেই গ্রহণ করত। এবং সেটা আমাদের সকলের জন্যই মঙ্গল হতো।

বিএনপির লাগাতার অবরোধের মধ্যে হরতালের কারণে এসএসসির ১৩ দিনের পরীক্ষা পিছিয়ে যায়। পরীক্ষাগুলো শুক্র ও শনিবার নেওয়া হচ্ছে।

মিজানুর রহমান বলেন, রাজনীতিবিদ যারা এটা (পরীক্ষার সময় হরতাল-অবরোধ) করছেন, আরার মনে হয় তারা নিতান্তই অর্বাচীনের মত কাজ করছেন। আমাদের ছেলেমেয়ে যাদের ভবিষ্যত বলে গণ্য করি, তাদের প্রতি সহানুভূতি দৃষ্টি থাকা উচিত ছিল। পরীক্ষাগুলো হরতালের বাইরে রাখা যেতে পারতো। এতে করে তাদের দেশ ও মাতৃভূমির প্রতি যে দরদ-প্রেম এবং রাজনীতি যে জনকল্যাণে এবং মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করবার জন্যই- সেই জিনিসটা অন্তত পক্ষে প্রমাণ রাখতে পারতেন। সেটা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হলেন। এটি বড় ব্যাপার।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।