হোটেল লেকশোর থেকে: চলমান সংকট নিরসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মধ্যেই সংলাপ হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান।
শনিবার (৭ মার্চ) রাজধানীর হোটেল লেক শো’রে রিজিওনাল এন্টি টেরোরিস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট (আরএটিআরআই) আয়োজিত ‘সহিংসতা, জঙ্গিবাদ, সংলাপ ও বাস্তবতা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিজিওনাল এন্টি টেরোরিস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (আরএটিআরআই)।
এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রিজিওনাল এন্টি টেরোরিস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (আরএটিআরআই) নির্বাহী পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) একে মোহম্মদ আলী শিকদার।
মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে আখতারুজ্জামন বলেন, সহিংসতার জন্য বিএনপিকে দায়ি করছে সবাই। কিন্তু বিএনপি কেন এই সহিংস পথ বেছে নিলো সে কথা কেউ বলছেন না। আমাকে আপনি বালুর ট্রাক দিয়ে আটকে রাখবেন, সভা-সমাবেশ করেতে দেবেন না, শুধু আঘাত করবেন, আর আমি বসে বসে মার খাবো, তা হতে পারে না। বাধ্য হয়েই আমাকে পাল্টা আঘাত করতে হয়েছে, দাবি বিএনপির এই সাবেক সংসদ সদস্য’র।
সরকারের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, আপনাদের কাছে দয়া চাই না, গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকা সত্বেও কেন খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করছেন না? কেন আপনার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হচ্ছেন।
আখতারুজ্জামান বলেন, আমি যদি অপরাধ করি, আমাকে গ্রেফতার করবে সরকার। যদি না করে তার দায় সরকারকেই নিতে হবে। দেশে এত সন্ত্রাস হচ্ছে, সরকার নীরব থাকছে কেন, প্রশ্ন রাখেন তিনি।
বিএনপির আরেক সাবেক সংসদ সদস্য শহীদুল হক জামাল বলেন, পেট্রোলবোমা কখনো আন্দোলনের ভাষা হতে পারে না। এই জন্য সরকারকেই দায়িত্ব নিতে হবে, এ পেট্রলবোমা হামলা বন্ধ করার।
আলোচকদের মধ্যে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হারুন অর রশিদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মিজানুর রহমান, ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির উপাচার্য ড. মুহাম্মদ সামাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ অ্যান্ড ইনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিপার্টমেন্টের ডিন অধ্যাপক মাকসুদ কামাল, ক্রিমিনোলজি বিভাগের ডিন ড. জিয়া রহমান, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. আহিদুজ্জামান চাঁন, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যপক ড. জিনাত হুদা, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল, জাপান স্টাডি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ প্রমুখ।
কূটনীতিক ও রাজনীতিবিদদের মধ্যে গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ওয়ালিউর রহমান, সাবেক মন্ত্রী জি এম কাদের, জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান, সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান, আবু হেনা, শহীদুল হক জামাল, গোলাম মাওলা রনি ও বাসদের প্রেসিডিয়াম সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন।
ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের মধ্যে অংশ নিচ্ছেন ইসলামী চিন্তাবিদ হাফেজ মওলানা জিয়াউল হাসান, শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের পেশ ইমাম মাওলানা ফরিদউদ্দীন মাসুদ প্রমুখ।
সাংবাদিক ও অর্থনীতিবিদদের মধ্যে উপস্থিত রয়েছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক আবেদ খান, বৈশাখী টেলিভিশনের সিইও মনজুরুল আহসান বুলবুল, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান ও অভিনেত্রী শমী কায়সার।
আইনজীবীদের মধ্যে গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট স ম রেজাউল করিম, এম এম আমিনুদ্দিন ও অ্যাডভোকেট মো. মহসিন।
ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন- ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদাক মোস্তফা কামাল মহিউদ্দিন, এফবিসিসিআই’র সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ, সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, বিজিএমইএ’র সভাপতি আতিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম, বিকেএমইএ সহ-সভাপতি এসএম আসলাম সানি, ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বারের বিশেষ উপদেষ্টা আব্দুল মতলুব আহমেদ, উইমেন চেম্বারের সাবেক সভাপতি সঙ্গীতা আহমেদ, বিজেএমইএ’র সাবেক সভাপতি শফিউল আলম মহিউদ্দিন ও আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ।
এই গোলটেবিল আলোচনার মিডিয়া পার্টনার দেশের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এশিয়ান টিভি, একাত্তর টেলিভশন ও এসএ টিভি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫, মার্চ ০৭, ২০১৫
** অবৈধপন্থায় ক্ষমতায় যেতেই এই সহিংসতা
** সংলাপ নয়, সন্ত্রাসের শেষ দেখতে চাই
** দুষ্টের দমন এখনই
** বিএনপি ইসলামি টেরোরিস্টদের হাতে বন্দি
** গঠনমূলক রাজনীতি চাই
** যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর আন্দোলন প্রতিহত করা হবে
** ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানানো খালেদার ভণ্ডামি
** এখন অ্যাকশনের সময়
** ব্যবসায়ীরা সরকারের দিকে তাকিয়ে আছে
** এখন অ্যাকশনের সময়
** স্বাধীনতাবিরোধীদের মদত দিতেই ১৫ আগস্টের জন্মদিন
** বোমা বানানোর বিচার হচ্ছে না
** বর্তমানে যা হচ্ছে রাজনৈতিক কারণেই
** খালেদা কি গিনেস বুকে নাম লেখাতে চান
** যারা শুধু ভূ-খণ্ড চায় তাদের সঙ্গে সংলাপ নয়
** অর্থায়ন বন্ধ না হলে সন্ত্রাস চলতেই থাকবে
** পুড়িয়ে মারার রাজনীতি এদেশে ছিল না
** খালেদা পাকিস্তানের উত্তরসূরী
** আইএসআইএ’র অর্থায়নে বিএনপি প্রতিষ্ঠিত
** সন্ত্রাস পরিহার করলেই সংলাপ
** বিএনপি জোট শুধুই সন্ত্রাস করছে
** সব ধ্বংস করে একটি অধিকার রক্ষা করা কঠিন
** রাজধানীতে ‘সহিংসতা, জঙ্গিবাদ, সংলাপ ও বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনা