ঢাকা: পর্যাপ্ত ও সর্বশেষ তথ্য-উপাত্ত পাওয়াকে কার্যকর নীতি-নির্ধারণের প্রধান উপাদান বলে উল্লেখ করেছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর পরিসংখ্যান ব্যুরোর অডিটোরিয়ামে বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস ২০১৫ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘এটা সবাই মনে করে আমরা সময়মতো তথ্য-উপাত্ত পাই না। ২০১৫ সালে এসে আমাদের কাজ করতে হয় ২০১০ সালের তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে। এ অবস্থা চলতে থাকলে কার্যকর পরিকল্পনা নেওয়া সম্ভব হবে না। ’
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী এ সময় বলেন, ‘তথ্যের সঠিকতা বজায় রাখতে হবে। ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে কাজ করলে ফলাফল ভুলই আসবে। আপনারা যদি আমাকে মানসম্মত তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করেন তবে আমিও আপনাদের কার্যকর পরিকল্পনা দিতে পারবো। ’
পরিসংখ্যান ব্যুরোকে যেকোন শুমারি ও জরিপ প্রতিবেদন অল্প সময়ের মধ্যে প্রকাশের নির্দেশনাও দেন মন্ত্রী।
যেকোন জরিপ ও শুমারির প্রতিবেদন যথাসময়ে প্রকাশ করা হবে বলে মন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কানিজ ফাতেমা।
অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচারাল অরগানাইজেশনের বাংলাদেশ প্রতিনিধি মাইক রবসন বলেন, ‘অর্থবহ পরিসংখ্যানবিদ একজন সফল গল্পকারের মতো। সঠিক পরিসংখ্যান দিয়ে আপনি যেকোন কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারবেন। ’
অপরদিকে, জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি আর্জেন্টিনা মাতাবেল বলেন, ‘ক্রমাগত মানসম্মত পরিসংখ্যান যেকোন উন্নয়ন কার্যক্রমের মাপকাঠি।
পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. শামসুল আলম বলেন, ‘অনেক ক্ষেত্রে আমাদের কোনো পরিসংখ্যান থাকে না বলে সরকারের অনেক সফলতাও এতে করে ধরা পড়ছে না। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৫
এমআইএস/এমজেএফ