যশোর: যশোরে ৫ পুলিশ সদস্যসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) সদর উপজেলার ইছালি গ্রামের মৃত এনামুল হকের স্ত্রী শিউলি বেগম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
যশোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. আবু ইব্রাহিম অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য যশোর পুলিশ ব্যুরো ইনভেটিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন।
যশোর আদালত পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) রেজাউল ইসলাম বিষয়টি বাংলানিউজকে জানান।
আসামিরা হলেন- সদর উপজেলার ইছালি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) তপন কুমার, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রাসেল হোসেন, কনস্টেবল ইব্রাহিম ও শহীদ, খাজুরা পুলিশ ক্যাম্পের সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মাসুদ এবং পুলিশের কথিত সোর্স হিসেবে পরিচিত অনুণ কুমার।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ অক্টোবর দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে আসামিরা সদর উপজেলার ইছালি গ্রামে অভিযান চালিয়ে এনামুলকে আটক করে মাইক্রোবাসে করে খাজুরার দিকে নিয়ে যায়। এরপর ভোরে এনামুলের ভাই মাইনুল কোতোয়ালি থানায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন পুলিশ এনামুলকে থানায় নিয়ে যায়নি। এরপর এনামুলের পরিবারের লোকজন তাকে বিভিন্ন পুলিশ ক্যাম্পে খুঁজতে থাকে। সকালে তার মেয়ে ঈশিতা ইছালি ক্যাম্পে খোঁজ নিতে গেলে দায়িত্বরত পুলিশ তাকে তার পিতার মরদেহ খুঁজতে বলেন।
পরদিন ১০ অক্টোবর যশোর জেনারেল হাসপাতালের স্টাফদের মাধ্যমে জানতে পারেন এনামুলের মরদেহ বারোবাজার রেললাইন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে তার মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। এরপর এনামুলের পরিবার হাসপাতাল মর্গে এসে তার মরদেহ সনাক্ত করেন।
পুলিশ এনামুলকে বাড়ি থেকে আটক করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ ট্রেন লাইনের উপর ফেলে দেয় বলেও বাদী মামলায় অভিযোগ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০২৩ ঘন্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৫
বিএস