ঢাকা, রবিবার, ১২ মাঘ ১৪৩১, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২৫ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

টাঙ্গাইল-৪ উপ-নির্বাচন

কাদের সিদ্দিকীসহ বিধি লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে ‘তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা’

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৫
কাদের সিদ্দিকীসহ বিধি লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে ‘তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা’

ঢাকা: টাঙ্গাইল-৪ আসনের (কালিহাতী) উপ-নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে ‘তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা’ নিতে জেলা প্রশাসককে দিক নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
 
সম্প্রতি সম্ভাব্য প্রার্থী কাদের সিদ্দিকীসহ অন্য প্রার্থীরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে ইসিতে প্রতিবেদন পাঠান জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুব হোসেন।

যা তৈরি করেছেন টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা)।
 
এতে বলা হয়েছে, কাদের সিদ্দিকী তফসিল ঘোষণার দিন থেকেই অর্থাৎ গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকেই আচরণবিধি লঙ্ঘন করে গেছেন। তার দেখাদেখি অন্যান্য প্রার্থীরাও আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন। ফলে নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইসির মতামত চাওয়া হয়েছে।

সে অনুসারেই নির্বাচন কমিশন টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসককে বুধবার (২১ অক্টোবর) বেশ কিছু দিক নির্দেশনা দিয়েছে।
 
ইসির উপ-সচিব সামসুল আলমের পাঠানো ওই দিক নির্দেশনার একটি অনুলিপি বাংলানিউজের হাতেও পৌঁছেছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রার্থীরা যদি আইন ও বিধি মান্য না করে তবে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালার ধারা-১৮ অনুযায়ী অভিযোগ আনা যাবে। অর্থাৎ আচরণবিধির কোনো বিধি প্রার্থী লঙ্ঘন করলে তাকে ছয় মাসের জেল বা ৫০ হাজার টাকার অর্থদণ্ড অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে। এছাড়া গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর আচরণ যদি আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটায় তা বিবেচনায় নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। এ জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আইনগতভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত। সার্বিকভাবে এসব মতামতের ভিত্তিতেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
 
সামসুল আলমের পাঠানো নির্দেশনার একটি অনুলিপি উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছেও পাঠানো হয়েছে।
 
টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপারের (বিশেষ শাখা) তৈরি করা ওই প্রতিবেদনে শুধু কাদের সিদ্দিকীর নাম উল্লেখ করা আছে। অন্য সব প্রার্থীরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে উল্লেখ করা হলেও সেখানে অন্য কারো নাম নেই। প্রতিবেদনটিতে কাদের সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে মূলত জনসভা করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
 
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪টায় কালিহাতীর রামপুর হাইস্কুল মাঠ, দূর্গাপুর ইউনিয়নের পটল বাজার উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, ১৭ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে আউলিয়াবাদ বাজারে, ১৯ সেপ্টেম্বর ঘাটাইল থানাধীন ফাতেমা হালিম উচ্চ বিদ্যালয় ও ২১ সেপ্টেম্বর কালিহাতী থানাধীন নারিন্দা টিআরকেএন স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে জনসভা করেছেন কাদের সিদ্দিকী। এছাড়া ২২ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টা ২ মিনিটে দক্ষিণ বেতডোবা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৮ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টায় উত্তর বেতডোবাস্থ একতা রাইস মিল এলাকা, ৩ অক্টোবর ৪টা ৩৫ মিনিটে কস্তুরীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ, ৪ অক্টোবর বিকেল ৩টায় কালিহাতীর কোকডহরা হাসপাতাল মাঠ এবং ৫ অক্টোবর বিকেল ৪টায় বেরীপটল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠেও জনসভা করেছেন তিনি। যা আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল।
 
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী এ উপ-নির্বাচনের কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। গত ১৩ অক্টোবর ঋণ খেলাপের অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এপর ইসিতে আপিল করলে তাও খারিজ হয়ে যায়।

অবশেষে উচ্চ আদালত বুধবার তার মনোনয়নপত্র গ্রহণে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে। এর ফলে নিজের ভাই লতিফ সিদ্দিকীর পদত্যাগের পর শূন্য হওয়া এই আসনটিতে কাদের সিদ্দিকীর প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা তৈরি হলো। আগামী ১০ নভেম্বর টাঙ্গাইলের-৪ আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, আক্টোবর ২১, ২০১৫
আইএ

** কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বৈধ
** টাঙ্গাইল-৪ আসনে ৩ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার
** আচরণবিধি মানছেন না কাদের সিদ্দিকী

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।