ঢাকা, রবিবার, ১২ মাঘ ১৪৩১, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২৫ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

পূজা মণ্ডপে সেলফি ঝড়

এম. আব্দুল্লাহ আল মামুন খান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৫
পূজা মণ্ডপে সেলফি ঝড় ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহ শহরের গোলপুকুরপাড় এলাকার প্রাত সংঘের নয়নাভিরাম ও আধুনিক পূজা মণ্ডপ। এ মণ্ডপ পরিদর্শনে এসেছেন জেলা পরিষদ প্রশাসক, জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা এবং ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র, তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা মো. ইকরামুল হক টিটু।



বর্ণিল আলোসজ্জার মাঝে তাদের সামনে-পেছনে ছুটছেন শত শত ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতা-কর্মী। পূজা মণ্ডপে প্রবেশ করতেই প্রবীণ-নবীন এ দু’নেতাকে নিয়ে অনবরত সেলফি তুলতে দাঁড়িয়ে গেলেন কয়েক তরুণ।

মণ্ডপে মহামানবদের লক্ষ্য করে ভক্তিমূলক নানা গানের পাশাপাশি শুরু হলো হালের জনপ্রিয় ধারা সেলফি ঝড়। বুধবার (২১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দৃশ্য ছিল এমনই। নানা বয়সী দর্শনার্থী, পূজারি ও ভক্তদের সঙ্গেও হাত মিলিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা গেলো তাদের।

সহাস্যে দু’নেতা সেলফি তুলে মণ্ডপের দায়িত্বশীলদের হাতে তুলে দিচ্ছেন ফুল আর মিষ্টি। সঙ্গে পৌরসভার তহবিল থেকে অনুদানের চেক তো ছিলই।

ফুল আর মিষ্টির ব্যতিক্রমী উপহার কেন, এমন প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেলো ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. ইকরামুল হক টিটু’র কাছ থেকে। বললেন, ‘ফুল ভালবাসার প্রতীক। আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসবে মিষ্টি মুখের গুরুত্ব অনস্বীকার্য।

এ কারণে উপহার স্বরূপ প্রতিটি মণ্ডপে দেয়া হচ্ছে মিষ্টি আর ফুল। এর মাধ্যমে আমরা সম্প্রীতির বন্ধন তৈরি করতে চাই। এ বন্ধনে বাঁধতে চাই গোটা শহরবাসীকে।

বুধবার সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সাথে সাথেই বর্ণাঢ্য আলোকসজ্জা ও আরতির তালে মুখর হয়ে উঠে ময়মনসিংহ শহরের সব ক’টি পূজামণ্ডপ। বৃদ্ধ-যুবা-কিশোর-কিশোরী কপালে তিলক এঁকে ঢুকছেন পূজামণ্ডপে। বিতরণ হচ্ছে প্রসাদ। ঢাক-ঘণ্টার বাদ্যি-বাজনা আর ভক্তদের পূজা অর্চনায় মুখর হয়ে উঠেছে মণ্ডপ।

শহরের মণ্ডপগুলোর পাশের প্রধান প্রধান সড়কেও আছড়ে পড়েছে উৎসবের ঢেউ। ময়মনসিংহের প্রতিটি পূজামণ্ডপে পুলিশ ও র‌্যাবের সতর্ক পাহারা লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া সাদা পোশাকধারী গোয়েন্দা পুলিশও রয়েছে তৎপর।

ময়মনসিংহ শহর ছাত্রলীগ সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন আরিফ ও যুবলীগ নেতা শাহীনুর রহমানের হাত ধরে পূজা মণ্ডপ ঘুরে জেলা পরিষদ প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা বলেন, এবার পূজামণ্ডপগুলোতে জনারণ্য বেশি। মুক্ত মনে সবাই পূজামণ্ডপে আসছেন। সার্বজনীন উৎসবের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে পূজামণ্ডপ। নিরাপত্তার ব্যাপারে সবাই সন্তুষ্ট, জানান তিনি।

শহরের ৬০টি পূজা মণ্ডপে পৌরসভার উদ্যোগে দেয়া হচ্ছে আর্থিক অনুদান। জেলা পরিষদ প্রশাসককে সঙ্গে নিয়ে এ অনুদান দিচ্ছেন মেয়র টিটু। মেয়র বলেন, বুধবার সন্ধ্যার পর ৮ থেকে ১০টি পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেছি।  

এসব মণ্ডপে সুষ্ঠু পরিবেশে পূজা উদযাপিত হচ্ছে। পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সমন্বয়ে প্রতিটি মণ্ডপে সামাজিক নিরাপত্তা কমিটি করে দেয়া হয়েছে।

ময়মনসিংহ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক শঙ্কর সাহা জানান, ময়মনসিংহে এ বছর ৭০৫টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত বছরের চেয়ে প্রায় ২৪টি বেশি পূজা মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

ঘুরে দেখা গেলো, আলোকসজ্জা আর আধুনিকতার মিশেলে একাকার পূজামণ্ডপগুলো। প্রতিটি পূজা মণ্ডপ সাজানো হয়েছে নতুন রঙ্গ আর সাজে। মনের মাধুরী মিশিয়ে তৈরি করেছে সুসজ্জিত সব তোরণ।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৫
জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।