ঢাকা, শুক্রবার, ১০ মাঘ ১৪৩১, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

জানে না বাংলাদেশ

সাকার পাকিস্তানি ৫ সাক্ষীর বাংলাদেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৫
সাকার পাকিস্তানি ৫ সাক্ষীর বাংলাদেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা!

ঢাকা: জানে না বাংলাদেশ। কিন্তু রিপোর্ট ছেপেছে পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী তার মৃত্যুদণ্ডাদেশের রিভিউ শুনানিতে যে ৫ পাকিস্তানির সাফাই সাক্ষ্য শোনার আবেদন করেছিলেন, তাদের বাংলাদেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

কিন্তু এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারির খবর উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এর সাফ কথা, পাকিস্তানি নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণে কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি।

শুক্রবার প্রকাশিত দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অভিবাসন পুলিশ-এর কাছে চিঠি দিয়ে ৫ পাকিস্তানিকে কালো তালিকাভুক্ত করার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ।

এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অভিবাসন পুলিশ বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলেও দাবি করা হয়েছে প্রকাশিত রিপোর্টে।  

কিন্তু কার্যত এমন কোনো উদ্যোগই নেওয়া হয়নি বাংলাদেশের তরফে।

তবে বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা বাংলাদেশে আসার পর 'অন অ্যারাইভাল ভিসা' সুবিধা ভোগ করত জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, কয়েকটি দেশের নাগরিকদের ক্ষেত্রে সে সুবিধা স্থগিত করা হয়েছে, যার মধ্যে পাকিস্তানও রয়েছে। কিন্তু কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এও বলেন, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের প্রক্রিয়ায় পাকিস্তানি নাগরিকদের সাক্ষ্য দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তা সত্ত্বেও তারা পাকিস্তান থেকে যদি ভিসা নিয়ে আসতে পারেন, সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কোনো সমস্যা নেই।

সাকার আবেদনের ওই পাঁচ পাকিস্তানি সাক্ষী হলেন- দেশটির সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী মিয়া মোহাম্মদ সুমরো, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ইসহাক খান খাকওয়ানি, স্থপতি মুনিব আরজুমান্দ খান, ডন মিডিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান আম্বার হারুন সায়গল ও ভিকারুননিসা নূনের নাতি রিয়াজ আহমেদ।

প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে ইসহাক খান খাকওয়ানি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের এ ধরনের পদক্ষেপে আমরা হতাশ। আমরা প্রতিটি ফোরাম থেকে এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

সম্প্রতি সাকা চৌধুরী তার মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) শুনানিতে ৫ পাকিস্তানিসহ আটজনের সাফাই সাক্ষ্য নিতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করেন।

সাকা চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে আপিল বিভাগ গত ২৯ জুলাই সংক্ষিপ্ত রায় দেন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন আপিল বিভাগ। এর পরদিন সাকা চৌধুরীকে ট্রাইব্যুনালের জারি করা মৃত্যু পরোয়ানা পড়ে শোনায় কারা কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ সময়: ১২০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৫
জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।