ঢাকা, শুক্রবার, ১০ মাঘ ১৪৩১, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

২৭ বছরের সমুদ্র সড়কের স্বপ্ন

সাব্বির আহমদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৫
২৭ বছরের সমুদ্র সড়কের স্বপ্ন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কক্সবাজার থেকে: শুধু সৈকতে নেমে নয় এবার সড়কপথে চলতে চলতে সমুদ্রের ঢেউ আছড়ে পরার দৃশ্য দেখবেন পযটক। দেখবেন নীল জলরাশির খেলা আর সমুদ্রে অদূরে দোল খাওয়া সাম্পান।

সূর্যের উদয় ও অস্তের অনাবিল সুন্দর দৃশ্যও উপভোগ করা যাবে সমুদ্র সড়কে।

আর বছর দেড়েক পার হলেই এমন সড়কে যুক্ত হয়ে যাবে বাংলাদেশ। ‘কক্সবাজার- মেরিন ড্রাইভ’ এই সড়কের ৪৮ শতাংশ কাজ শেষ হচ্ছে আগামী ডিসেম্বরে। আর ২০১৭ সালের জুনে পুরো কাজ শেষে তা দেশি বিদেশি পর্যটকের জন্য খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন, ‘মেরিন ড্রাইভের এমন স্বপ্ন অবশ্য নতুন নয়। ২৭ বছর আগে থেকেই এটা হওয়ার কথা ছিলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০১৭ সালেই পর্যটকরা সমুদ্র উপভোগ করার সুযোগ পাবেন মেরিন ড্রাইভে। প্রকল্পের কাজ অনেকদূর এগিয়ে গেছে বলেও জানালেন মন্ত্রী।

বর্তমানে কক্সবাজার থেকে হিমছড়ি হয়ে ইনানী সৈকত পর্যন্ত গাড়ি নিয়ে সমুদ্র উপভোগ করা গেলেও পর্যটকদের জন্য তা পুরোপুরি উন্মুক্ত হবে পুরো কাজ শেষ হওয়ার পর।

ইনানী সমুদ্র সৈকতে দাঁড়িয়ে এ নিয়ে মন্ত্রী সর্বশেষ অবস্থার বর্ণনা দিচ্ছিলেন। তিনি বলেন, ‘১৯৮৮ সালে মেরিন ড্রাইভের কাজ শুরু করে সেনাবাহিনী। গত ২৭ বছরে
৮২ কিলোমিটারের এই মেরিন ড্রাইভ ফান্ডের অভাবে ঝুলছিলো। বর্তমান সরকার ফান্ড নিশ্চিত করে ২৩২ কোটি টাকা দিয়ে জমি অধিগ্রহণ করে। এখন কাজ শেষের পথে।

মন্ত্রী জানান, আগামী ডিসেম্বরে এর ৪৮ কিলোমিটার পথ পুরোপুরি পাকা করার কাজ শেষ হবে।

এছাড়া ২০১৭ সালের জুন মাসের মধ্যে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের কাজ সমাপ্ত হবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মন্ত্রী এ সময় আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেনাবাহিনীকে সীমান্ত সড়ক নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন। ৬৯৫ কিলোমিটার এ সড়ক নির্মাণে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৩০২ কোটি টাকা। আগামী ১২ বছরের মধ্যে এর নির্মাণ কাজ শেষ হবে।

বাংলাদেশ সময়:  ১২৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৫
আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।