ঢাকা: শুভ্র শরতের শেষে এলো হেমন্ত। এ ঋতুর সবই যেনো সোনায় মোড়ানো।
পদ্মাপাড়ে বেলা পড়ে এলে সূর্যদেবের শেষ উত্তাপটুকু ঝরে পড়ে নদীর জলে। নির্মল পদ্মা রূপ নেয় স্বর্ণগলা নদীতে। দিগন্তজুড়ে তখন সোনার ঝলকানি।
হেমন্তের রোদে উত্তাপ নেই, আছে কেবল নরম উষ্ণতা। এ উষ্ণতায় যেনো মিশে রয়েছে পাকা ধানের মিষ্টি গন্ধ।
কর্মব্যস্ত দিনের শেষে নদীতেও নেই ব্যস্ত পারাপারের হিড়িক। শান্ত নদীর পাড়ে নৌকা ভিড়িয়ে শূন্য অবসরে বসে মাঝি। আনমনে ঘাসের ওপর একঝাঁক ফড়িংয়ের ছোঁয়াছুঁয়ি খেলা দেখায় ব্যস্ত সে।
সূর্য ততক্ষণে সিঁদূররঙা। দূরের জাহাজের খেঁয়ালি হুইসেল মনে করিয়ে দেয়, ঘরে ফেরার কথা।
শেষবেলার আলোটুকু গায়ে মেখে নদীতে বৈঠা ফেলে ভেসে চলে দূর গাঁয়ের মাঝি।
সন্ধ্যা এবার নামি নামি। পদ্মাপারের শিশিরভেজা বাতাসে তখন অপার শীতলতা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৫
এসএমএন/এএ