ঢাকা, শুক্রবার, ১০ মাঘ ১৪৩১, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

নীরব হোসেনী দালান

ঊর্মি মাহবুব, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৫
নীরব হোসেনী দালান ছবি: দীপু মালাকার / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: আশুরার দিন রাতে বন্ধ হোসেনী দালানের গেট। গেটের ভেতরে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।

দু’একজন মানুষ আসছেন, আবার চলেও যাচ্ছেন। অথচ প্রতি বছর আশুরার দিন সারারাতই সরগরম থাকে হোসেনী দালানের আশপাশের এলাকা।

শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) দিনগত রাতের বোমা হামলার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় নীরব হোসেনী দালান।

আশুরার মতো পবিত্র দিনে তাজিয়া মিছিল কেন্দ্র করে বোমা হামলা ইতিহাসে কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ। নয়া বাজারের মুরগী ব্যবসায়ী মো. শরীফ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমি প্রতি বছরই এদিনে দোকান চালাই। রাতে দোকান বন্ধ করে এখানে আসতাম। আশপাশে অসংখ্য খাবারের দোকান ও অন্যান্য ছোটখাট দোকান বসে আশুরা কেন্দ্র করে। মানুষ আসেন দরগায়। কিন্তু কাল রাতে বোমা হামলার কারণে এখানে কেউ আসছেন না। যারা এ কাজ করেছে তাদের কঠিন শাস্তি দেয়া উচিত।

নাজিমুদ্দিন রোডের বাসিন্দা ইখলাস মিয়া আশুরার দিন রাস্তায় শুকনো খাবারের দোকান দেন। কখনো-সখনো ভাজা পোড়াও রাখতেন। দু’দিনে বিক্রি খারাপ হতো না। এবারও পুরো প্রস্তুতি ছিলো। দোকানও দিয়েছিলেন। কিন্তু বিক্রি হয়নি। বলেন, আরে ভাই তরতাজা পোলাডা মইরা গেলো। কীসের দোকান কিসের কী! মানুষতো সারাদিন কাইন্দাই কূল পায় নাই। অন্যবার সারারাত মানুষ গমগম করতো এ রাস্তায়। কিন্তু আইজ দেহেন এক্কেবারে শুনশান। বোমা যারাই মারছে না কেন তাদের মানুষের সামনে আইন্না বিচার করা উচিত।  

শুক্রবার দিনগত রাত ১২টা থেকেই লোক সমাগম হয় নাজিমুদ্দিন রোডের হোসেনী দালান ও তার আশপাশের এলাকায়। উদ্দেশ্য একটাই, মহরমের মিছিলে শরিক হওয়া। কিন্তু ১টা ৪৫ মিনিটে থেকে রাত ২টা পর্যন্ত চারবার হামলা হয় হোসেনী দালানের জনতা কেন্দ্রে। এতে মারা যান একজন, আহত হন অর্ধ শতাধিক।

বাংলাদেশ সময়: ০৫১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৫
ইউএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।