ঢাকা, শুক্রবার, ১০ মাঘ ১৪৩১, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

চার্টে অমিল! থেমে নেই অতিরিক্ত ভাড়া আদায়

সাব্বির আহমদ, স্টাফ করসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৫
চার্টে অমিল! থেমে নেই অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ফাইল ফটো

ঢাকা: এখনও থামেনি অতিরিক্ত ভাড়া আদায়। বিআরটিএর অভিযান এবং বাস মালিকদের নিয়ে মন্ত্রীর বৈঠকের পরও চলছে যথেচ্ছভাবে ভাড়া আদায়।

শুধু অতিরিক্ত ভাড়া বিড়ম্বনাই নয় বাস ভাড়ার এক চার্টের সঙ্গে আরেক চার্টের মিল পাচ্ছেন না যাত্রীরা।

চার্টের নকশায় বিভ্রান্ত হচ্ছেন বেশিরভাগ সাধারণ যাত্রীরা। তাদের অনেকেই বলছেন- চার্টটি দেখে বোঝার উপায় নেই কোন গন্তব্যে কত টাকা ভাড়া।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও স্বীকার করেছেন প্রায় ৪০ ভাগ বাস অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। এ নিয়ে মন্ত্রী মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে প্রশ্নও করেছেন ‘আপনাদের নিয়ে এ ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে তাহলে কেন অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছেন?

তারপরও যাত্রীদের কাছ থেকে ইচ্ছেমত বাসভাড়া আদায় করছে চালক হেলপাররা।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হক চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, ভাড়ার তালিকায় যে অংক দেয়া হয়েছে তা এতই কঠিন যে সাধারণ যাত্রীর পক্ষে সেটা বোঝা সম্ভব নয়।

এর সুযোগে কোথাও কোথাও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, আবার কোথাও চার্ট ধরেই অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে দেখেছে তার সংগঠনটি।

তাদের ১৩টি টিম ১৭৩টি রুটের উপর পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে যে, ৮৭ ভাগ যানবাহন অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে যাত্রীদের কাছ থেকে।

তিনি আরও জানার, রাজধানীতে দুই ধরনের চার্ট দেখা যাচ্ছে একটি করেছেন মালিকরা যেখানে কিলোমিটারের হিসাব না দেখিয়ে সরাসরি বিভিন্ন গন্তব্যের ভাড়া লিখে দেওয়া হয়েছে। যা অনেকটা প্যাকেজের মত।

আবার বিআরটিএর তালিকা দূরত্ব অনুসারে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে কিন্তু তা বুঝে ওঠা সাধারণের পক্ষে সম্ভব নয়।

এই দুই চার্ট বিড়ম্বনার সমাধান না হলে-ভাড়া নৈরাজ্য থামবে না বলে মনে করেন মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, ফার্মগেট থেকে মতিঝিলের দূরত্ব ৬ কিলোমিটার কিন্তু কিছু চার্টে দেখা যাচ্ছে ৮ কিলোমিটার।

আবার আরেকজন যাত্রী দুটি চার্ট দেখিয়ে বলেছেন এ দুটিতে ফার্মগেট-মতিঝিলের দুই দূরত্ব উল্লেখ করা হয়েছে। এতে যাত্রীরা কোনটি সঠিক বুঝবে ? আর কতইবা ভাড়া দেবে ?

বাস ভাড়া বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যথেচ্ছ ভাড়া আদায় করছে হিউম্যান হলার, লেগুনাগুলো-এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, গুলিস্তানের মোড় থেকে খিলগাঁও রেলগেট পযন্ত ৩ কিলোমিটার দূরত্বের ভাড়া হতে পারতো যেখানে ৩ টাকা, তার জায়গায় ১৫ টাকা নিচ্ছে হেলপাররা আর বাসাবো পর্যন্ত আদায় করছে ১৭ টাকা। একই ভাবে আজিমপুর থেকে গুলিস্তানও একইভাবে ১৫ টাকা নিচ্ছে এসব ছোট পরিবহনগুলো।
 
বিআরটিএ-এর পরিচালক নুরুল ইসলাম জানান, মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে সব রুটে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে।

তবে বেশিরভাগ যাত্রীর অভিযোগ, এ অভিযানের কোন সুফলই পাচ্ছেন না তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৫
এসএ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।