ঢাকা: ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর লিখিত ও মৌলিক পরীক্ষার মাধ্যমে ৪২ হাজার ৬১১ জন শিক্ষককে উত্তীর্ণ করে মেধা তালিকা প্রণয়ন করে। এর মধ্যে ১৪ হাজার জন শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়া হয়।
জাতীয়করণ না হওয়া বাকি প্রার্থীদের অনেকেরই বর্তমানে চাকরির বয়স পেরিয়ে গেছে। এমনকি অনেকের বিবাহ বিচ্ছেদের মতো ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রাথমিক প্যানেল শিক্ষক ঐক্য পরিষদ।
রোববার (২৫ অক্টোবর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের সভাপতি রবিউল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, নিয়োগ না পাওয়া অবশিষ্টরা বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এদের বেশিরভাগই দরিদ্র পরিবারের সন্তান। অনেকেই মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।
বক্তারা আরো বলেন, নিয়োগ না পাওয়াদের মধ্যে ৭০ শতাংশ মহিলা শিক্ষক। নির্ধারিত সময়ে নিয়োগ না পাওয়ায় বিবাহ বিচ্ছেদের মতোও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে।
প্যানেলভুক্ত সব শিক্ষকদের দ্রুত নিয়োগ বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৫
এমএন/এমএ/জেডএস