সিলেট: শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার আসামিদের মতামত গ্রহণ ও যুক্তিতর্ক চলছে।
এ লক্ষ্যে রোববার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামসহ ১১ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবর হোসেন মৃধার আদালতে এ মামলার বিচার কার্যক্রম চলছে।
যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের তারিখ ধার্য করা হবে বলে জানিয়েছেন ওই আদালতের প্রসিকিউটর (পিপি) মো. মফুর আলী।
এর আগে ২১ অক্টোবর আলোচিত এ মামলায় ৩৪২ ধারায় আসামিদের মতামত ও যুক্তি-তর্ক উপস্থাপনের জন্য রোববার তারিখ ধার্য করেন আদালতের বিচারক।
গত ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে সামিউল আলম রাজনকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের পর লাশ গুম করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হন কামরুলের ভাই মুহিত আলম। নির্যাতনের ২৮ মিনিটের ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশে-বিদেশে নিন্দার ঝড় ওঠে। খুনিদের ফাঁসির দাবিতে সোচ্ছার হয়ে ওঠেন জনতা।
নিহত রাজন সদর উপজেলার কান্দিরগাঁও ইউনিয়নের বাদেআলী গ্রামের আজিজুল ইসলাম আলমের ছেলে। হত্যাকাণ্ডের পর মহানগরীর জালালাবাদ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) বাদী হয়ে মুহিত আলমসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে গিয়ে হত্যাকারীদের সঙ্গে আর্থিক সমঝোতার অভিযোগে বরখাস্ত হন মহানগরীর জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আলমগীর হোসেন, এসআই জাকির হোসেন ও আমিনুল ইসলাম।
গত ১৬ আগস্ট সৌদি-আরবে আটক কামরুল ইসলামসহ ১৩ আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর সুরঞ্জিত তালুকদার। এর আগে মুহিত আলমসহ ৮ জন এ ঘটনায় আদালতে হত্যার দায় স্বীকার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
গত ২২ সেপ্টেম্বর একই আদালতের বিচারক চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলায় সৌদি-আরবে আটক কামরুলসহ ১৩ আসামির বিরুদ্ধে ৩০২/২০১/৩৪ ধারায় চার্জ গঠন করেন আদালতের বিচারক।
মামলার বিচার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বিচারক সাক্ষ্য নেওয়ার তারিখ (যথাক্রমে- ১. ৪, ৭, ৮, ১১, ১২, ১৩, ১৪ ও ১৫ অক্টোবর) ধার্য্য করেন। গত ১৮ আগস্ট পর্যন্ত ১০ কার্যদিবসে এ মামলায় মোট ৩৬ জন সাক্ষি দেন।
পরবর্তীতে কামরুলের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২১ অক্টোবর আদালতে পুনরায় সাক্ষ্য দেন ১১ সাক্ষী।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৫
এনইউ/বিএস
** রায়ের দিন ধার্য রোববার