ঢাকা: দেশে বাস ও ট্রাক এ দুই ধরনের যানবাহনের দুর্ঘটনায় পড়ার হার সবচেয়ে বেশি। আর দুর্ঘটনার পর ৪২ শতাংশ চালক যানবাহন নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) চেয়ারপারসন ড. হোসেন জিল্লুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
রোববার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে মহাখালিতে ব্র্যাক ইন সেন্টারে ‘সড়ক নিরাপত্তায় আইন প্রণয়ণ’ শীর্ষক এক সেমিনারে পিপিআরসি’র গবেষণায় উঠে আসা এ তথ্য জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সেমিনারের আয়োজন করে ব্র্যাকের সড়ক নিরাপত্তা কর্মসূচি ‘অ্যাডভোকেসি ফর সোস্যাল চেইঞ্জ’।
জিল্লুর রহমান জানান, মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে ৩৯ শতাংশ। আর প্রতিযোগিতার কারণে ৩০ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটে। পেছন বা পাশ থেকে ধাক্কার কারণে ১৫ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনায় শিকার ৪১ শতাংশই পথচারী। ৪৯ শতাংশ ট্রাক-বাসের যাত্রী। এছাড়াও ৩ শতাংশ সাইক্লিস্টও দুর্ঘটনার শিকার হয়।
চালকদের ওপর পরিচালিত আরেক গবেষণার উল্লেখ করে তিনি জানান, সঠিক বা জাল হোক ৯৭ শতাংশ চালকের কাছে লাইসেন্স পাওয়া গেছে। তবে তাদের প্রায় সবাই বলেছেন, বিআরটিএ থেকে এ সেবা পেতে প্রচুর সময় ও অর্থব্যয় করতে হয়েছে।
২০ শতাংশ চালক সরাসরি স্বীকার করেছেন, লাইসেন্সের জন্য তাদের কোনো পরীক্ষা দিতে হয়নি।
গবেষণায় উঠে এসেছে, চালকদের ৮০ শতাংশ কোনো না কোনো শ্রমিকসংগঠনের সঙ্গে যুক্ত।
তাদের অর্থনৈতিক দিক বিবেচনা করে দেখা গেছে, চালক হিসেবে মাসিক চাকরি আছে মাত্র ৯ শতাংশের। আর বেশির ভাগের ট্রিপভিত্তিক। এদের মধ্যে ২০ শতাংশ খুব বেশি সময় ধরে একটানা গাড়ি চালান, যা অত্যন্ত বিপজ্জনক।
সেমিনারে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন জানান, তার সংগঠন পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, গত ৯ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন, সাড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৫
এসএ/আরএম
** শীতকালীন অধিবেশনে পাস হবে বিআরটিএ আইন