যশোর: যশোরের ব্যাংকগুলো কয়েন জমা না নেওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন জেলার শতাধিক বেকারি মালিক। এরই মধ্যে তাদের কাছে কোটি টাকারও বেশি কয়েন জমা হয়েছে।
রোববার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে যশোর জেলা বেকারি মালিক সমিতি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এসব কয়েন ব্যাংকগুলো জমা না নেওয়ায় আমরা পুঁজি সংকটে পড়েছি।
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যাংকগুলো কয়েন জমা নিতে শুরু না করলে বেকারি বন্ধ করতে বাধ্য হবেন বলেও জানান তিনি।
বেকারিতে উৎপাদিত বেশিরভাগ খাদ্য পণ্যের খুচরা মূল্য এক টাকা, দুই টাকা, তিন টাকা ও পাঁচ টাকা। ফলে বাধ্য হয়েই আমাদের এসব কয়েন ও খুচরা টাকা লেনদেন করতে হয়। অথচ, বেকারিতে খাদ্যপণ্য উৎপাদন সামগ্রী (ময়দা, চিনি, তেলসহ অন্যান্য উপাদান) কিনতে গেলে ওই কয়েন কোনো দোকানে নিচ্ছে না।
কিন্তু ব্যাংকে কয়েন জমা না নেওয়ায় বাধ্য হয়ে দোকানিরাও কয়েন নেন না। ফলে বেকারি শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত হাজারো মানুষ চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
একপর্যায়ে বিষয়টি সুরাহার জন্য ১১ অক্টোবর সমিতির পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। কিন্তু তাতে সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেওয়া বেকারি মালিকরা প্রত্যেকে প্যাকেট ভর্তি কয়েন নিয়ে আসেন। এসব কয়েন টেবিলের ওপর স্তুপ করে সাজিয়ে রাখা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- জেলা বেকারি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৫
এসআই