ঢাকা: সম্প্রতি বিলুপ্ত ছিটমহলগুলোতে দ্রুত নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কমিটি। এজন্য সংসদ সদস্যদের পরামর্শক্রমে স্থান চিহ্নিত করার ওপর জোর দিয়েছে কমিটি।
রোববার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি মো. মোতাহার হোসেনের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসেন এবং মো. আবুল কালাম বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠক শেষে মো. মোতাহার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বিলুপ্ত ছিটমহলগুলোতে উপযুক্ত স্থান চিহ্নিত করে দ্রুত নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে প্রাথমিকের পাঠ্যপুস্তক ছাপানো সম্পন্ন হবে বলে কমিটিকে জানিয়েছেন এনসিটিবি’র চেয়ারম্যান।
এ বিষয়ে মো. মোতাহার হোসেন বলেন, ওরা (এনসিটিবি) আমাদের জানিয়েছে, ইতিমধ্যে ৫০ শতাংশ বই ছাপানোর কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বই ছাপানোর কাজ সম্পন্ন হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক শিক্ষকদের পদন্নোতি প্রদানের কথাও বলা হয়েছে। তবে আন্দোলনরত শিক্ষকদের ব্যপারে কোনো সুরাহা হয়নি। মন্ত্রণালয় কমিটিকে জানিয়েছে, গ্রেড নির্ধারণ করেছে পে কমিশন, আমাদের কিছু করার নেই।
চলতি মাসের মধ্যেই শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার সমাধান চায় সংসদীয় কমিটি। এজন্য মন্ত্রণালয়কে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
বৈঠকে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়ন, শিক্ষক নিয়োগ, দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী নিয়োগ ও সমাপনী পরীক্ষার অগ্রগতি বিষয়ে আলোচনা করা হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সমাপনী পরীক্ষা শেষ করারও তাগিদ দিয়েছে কমিটি।
বৈঠকে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে চলমান মামলাগুলোর রায়ের পর আর কোনো আপিল না করার এবং চলমান আপিলের কার্যক্রম না চালানোর সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, যুগ্ম-সচিব, মহাপরিচালক, প্রকল্প পরিচালকসহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৫
এসএম