গাজীপুর: প্রসূতির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শ্রীপুর পৌর এলাকার পদ্মা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড হাসপাতাল নামে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভাঙচুর চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
রোববার (২৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভাঙচুরের এ ঘটনা ঘটে।
নিহত প্রসূতি রীমা আক্তার শ্রীপুর পৌর এলাকার উজিলাবো গ্রামের মুজিবুর রহমানের স্ত্রী।
নিহতের শ্বশুর ওসমান গণি জানান, বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে রীমা আক্তারকে মাওনা চৌরাস্তার পদ্মা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড হাসপাতাল নামের ওই ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সার্জন ডা. মাহমুদুর রহমান শাহীন ওই সন্ধ্যায় প্রসূতিকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান। সেখানে প্রসূতি কন্যা সন্তান প্রসব করে।
এদিকে, অপারেশনের পর রোগীর অনিয়ন্ত্রিত রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এ সময় চিকিৎসক কাউকে না জানিয়ে দ্রুত হাসপাতাল থেকে নেমে যান। তিন ঘণ্টা পরও রোগীকে বাইরে বের না করায় রোগীর স্বজনদের সন্দেহ হয়।
হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম অতিরিক্ত অনিয়ন্ত্রিত রক্তক্ষরণের কথা বলে রোগীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে, রোগীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয়। সেখানে দুইদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর রোববার দুপুরে ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়।
পদ্মা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড হাসপাতালের পরিচালক জহিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ক্লিনিকে রোগীর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। পরে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে চিকিৎসক মাহমুদুর রহমান শাহীনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ আজিজুল হক বাংলানিউজকে জানান, ক্লিনিক ভাঙচুরের খবর শুনে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে। সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৫
এমজেড