বরিশাল: যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বরিশাল থেকে ঢাকাগামী এমভি দীপরাজ লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করতে পারেনি।
রোববার (২৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে লঞ্চটি বরিশাল নৌ-বন্দর ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিলো।
পরে, রাত ১১টার দিকে নৌ-পুলিশ, কোতোয়ালি থানা পুলিশ ও লঞ্চ মালিক সমিতির নেতাদের সহায়তায় যাত্রীদের বরগুনা থেকে ঢাকাগামী এমভি মৌসুমী-২ লঞ্চে তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু এর আগেই বহু যাত্রী নিরাশ হয়ে টার্মিনাল এলাকা ত্যাগ করেন।
জেনারেটরে সমস্যা দেখা দেওয়ায় লঞ্চটি বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে ব্যর্থ হলে এ সমস্যা দেখা দেয় বলে জানিয়েছেন লঞ্চ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা মিরাজ।
যান্ত্রিক ত্রুটি মেরামতের চেষ্টা চালাতে গিয়ে সময় অতিবাহিত হতে থাকলে লঞ্চে থাকা প্রায় পাঁচশ’ যাত্রী ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এ কারণে মাস্টার, কেরানি, সুকানিসহ দায়িত্বরত সবাই পালিয়ে যাওয়ায় সমস্যা আরো প্রকট হয়ে দাঁড়ায় বলে জানান নৌ পুলিশের ইনচার্জ টিএসআই আবু বকর।
প্রত্যক্ষদর্শী ও লঞ্চের যাত্রীরা জানান, লঞ্চ ছাড়ার নির্ধারিত সময়ের অল্প আগেই যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। সে সময় তারা অন্য লঞ্চে ঢাকা যেতে চাইলেও দীপরাজ লঞ্চ কর্তৃপক্ষ তাতে বাধা দেন। তারা সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।
রাত ৯টার দিকে লঞ্চের যান্ত্রিক ত্রুটির সমাধান না হলে যাত্রীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এ সময় মাস্টার, কেরানি, সুকানিসহ দায়িত্বরত সবাই আকস্মিক পালিয়ে যান।
পরে, পুলিশ এসে মালিক সমিতির নেতাদের সহায়তায় যাত্রীদের ঢাকা পাঠানোর জন্য বিকল্প লঞ্চের ব্যবস্থা করেন।
এদিকে, নাব্যতা সঙ্কটের কারণে বরিশাল নদীবন্দরে ঢাকাগামী সুরভী-৮, কীর্তনখোলা-২, সুন্দরবন-৭, পারাবাত-১০ লঞ্চ কয়েক হাজার যাত্রী নিয়ে নৌ-বন্দরের পল্টুন সংলগ্ন এলকায় আটকে যায়।
এ কারণে এসব লঞ্চ রোববার রাত সাড়ে ৮টা থেকে পর্যায়ক্রমে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সাড়ে ৯টার দিকে পল্টুন এলাকা ত্যাগ করে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৫
এমজেড