ঢাকা, শুক্রবার, ১০ মাঘ ১৪৩১, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

নতুন প্রজন্মের পুলিশি সেবায় আস্থা বেড়েছে

নুরুল আমিন,স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৫
নতুন প্রজন্মের পুলিশি সেবায় আস্থা বেড়েছে নুরে আযম মিয়া/ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: এক সময়ে পুলিশ সম্পর্কে অনেকটাই নেতিবাচক ধারণা ছিল মান‍ুষের। তবে এখন সেই ধারণা বদলে গেছে।

নতুন প্রজন্মের পুলিশ সদস্যদের সেবায় সন্তোষ প্রকাশ করছেন সব শ্রেণী-পেশার মানুষ।
 
গতানুগতিক পুলিশিংয়ের বাইরে গিয়ে নানা সামজিক কর্মকাণ্ডে নিজেদের নিয়োজিত করে পুলিশ সম্পর্কে জনগণের যে ভীতি ছিলো তা অনেকাংশেই দূর করেছেন তরুণ পুলিশ সদস্যরা।
 
এমন মন্তব্য ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আযম মিয়া’র। সম্প্রতি বাংলানিউজের সঙ্গে একান্ত আলাপে আরো অনেক বিষয়েই খোলামেলা কথা বলেন তিনি।
 
নুরে আযম মিয়া বলেন, অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার যে গতানুগতিক পুলিশিং ব্যবস্থা, এর বাইরেও নানা জনসেবামূলক কাজে নিজেদের নিয়োজিত করছেন নতুন প্রজন্মের পুলিশ সদস্যরা। অপরাধে দমনে ও এলাকার জনগণকে  আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে কাজ করতে নানা সচেতনতামূলক  সভা-সমাবেশ করছেন। ‘ওপেন হাউজ ডে’ আয়োজন করে অর্থাৎ এলাকাবাসীর সঙ্গে বসে তাদের সমস্যা শুনে সমাধানে কাজ করছেন। ফলে নেতিবাচক ধারণা বদলে পুলিশ এখন মানুষের মনে আস্থার জায়গা তৈরি করে নিয়েছে।
 
নুরে আযম মিয়া বলেন, পুলিশ মানেই খারাপ, এটা হচ্ছে জনগণের প্রথাগত নেতিবাচক ধারণা। মানুষের এমন ধারণা বদলাতে শুরু করেছে। সাধারণ জনগণ এখন পুলিশকে ভয় না পেয়ে সমাজের অপরাধ দমনে সহযোগিতা করছেন।
 
ধানমন্ডি থানা এলাকায় আগের তুলনায় অপরাধ অনেক কমেছে দাবি করে ওসি বলেন, আগে মাসে ২০ থেকে ২৫টি মামলা হলেও বর্তমানে তা কমে ১০ থেকে ১২টিতে নেমে এসেছে। এক বছর আগেও এই থানা এলাকায় প্রতিদিনই ছিনতাই, বিশেষ করে মোটরসাইকেলে এসে ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটতো। তবে সম্প্রতি এই ছিনতাই চক্রের একাধিক সদস্যকে গ্রেফতারের পর গত ছয় মাসে এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি।
 
মাদক ব্যবসা বন্ধে কি কি পদক্ষেপ নিয়েছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে অভিজ্ঞ এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ধানমন্ডি এলাকায় কোনো মাদক স্পট নেই। পুলিশের কঠোর নজরদারির কারণে এই এলাকায় কোনো মাদকের স্পট গড়ে তুলতে পারেনি মাদক ব্যবসায়ীরা।
 
চাঁদাবজি বন্ধে কি ব্যবস্থা নিয়েছেন জানতে চাইলে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, স্থানীয় প্রতিনিধি ভালো হলে সেই এলাকায় চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজি এমনিতেই কম হয়। ধানমন্ডি এলাকার জন প্রতিনিধিরা ভালো হওয়ায় এই এলাকায় চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজির ঘটনা অনেক কম। তারপরও কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ পেলে পুলিশ আইন অনুযাযী ব্যবস্থা নিয়ে থাকে।
 
যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি থানা পুলিশের কি ধরনের পদক্ষেপ রয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,  যানজট নিরসনে মূল ভূমিকা পালন করে ট্রাফিক বিভাগ। যানজট দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা, তাই যানজট নিরসনে থানা  ও কমিউনিটি পুলিশ সদস্য ট্রাফিক বিভাগকে নিয়মিত সহযোগিতা করে থাকে।
 
ধানমন্ডি থানার এই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, ১৫ বছর দেশের বিভিন্ন এলাকায় দায়িত্ব পালন করেছি। জনগণের সেবা করছি। বাকী সময়টুকুও সততা, ন্যায়-নিষ্ঠার সঙ্গে জনগণের সেবা করে যেতে চাই।

তিনি আরো বলেন, ধানমন্ডি থানাকে সন্ত্রাস, মাদকসহ সব ধরনের অপরাধ মুক্ত একটি আদর্শ থানা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। জনগণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই।

বাংলাদেশ সময়: ০৮১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৫
এনএ/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।