ঢাকা: আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠায় নিরীক্ষাকে ব্যাপক ক্ষমতা দেওয়া হলেও, তা চর্চা করা সম্ভব হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) মাসুদ আহমেদ।
সোমবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে দু’দিনব্যাপী এক আন্তর্জাতিক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ অভিযোগ করেন।
‘রোল অব এসএআই (সুপ্রিম অডিট ইনস্টিটিউশন) অ্যাজ এন ইনস্টিটিউশন অব অ্যাকাউন্টিবিলিটি’ শীর্ষক সেমিনারটির আয়োজন করেছে সিএজি কার্যালয়।
মাসুদ আহমেদ বলেন, আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠায় নিরীক্ষা বিভাগের উপর রাষ্ট্র গুরু দায়িত্ব অর্পণ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের কোর্ট অব অডিট সিস্টেমের ক্ষেত্রে নিরীক্ষা বিচার বিভাগের মতো ভূমিকা পালন করে।
বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠায় নিরীক্ষাকে ব্যাপক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নানা সীমাবন্ধতায় তা পুরোপুরি চর্চা করা সম্ভব হয় না। এরপরও সরকারি অর্থের অপব্যবহার রোধ করতে ও অনিয়মিতভাবে ব্যয় হওয়া অর্থ সরকারি কোষাগারে ফেরত আনতে নিরীক্ষা বিভাগ কাজ করছে, বলেন মাসুদ আহমেদ।
এ সময় তিনি বলেন, আমদের এক টাকা খরচ সরকারের জন্য ৫৮ টাকা আয় করে দেয়।
সাইবার ক্রাইমের মাধ্যমে অর্থ লুট বন্ধে আইটি নিরীক্ষা কাজে অডিটরদের সামর্থযোগ্য করে তোলা হবে উল্লেখ করে মাসুদ আহমেদ আরও বলেন, সম্প্রতি সাইবার ক্রাইম অনেক বেড়ে গেছে। সাইবার ক্রাইমের মধ্যে অর্থ আত্মসাত করা হলে তা যেন নিরীক্ষকরা ধরতে পারেন, সেভাবেই তাদের দক্ষ করে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি শওকত আলী। তিনি বলেন, জনগণের দেওয়া করের অর্থের অপব্যবহার বন্ধে নিরীক্ষা বিভাগের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সুপ্রিম অডিট ইনস্টিটিউশন জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি সামিয়া সাদেক ও এসপিইএমপি-বি’র প্রকল্প পরিচালক মো. জহুরুল ইসলাম।
দু’দিনের এ সেমিনারে বাংলাদেশসহ আফগানিস্তান, ভুটান, নেপাল, পাকিস্তান ও ফিলিপিন্স’র অডিটর জেনারেল উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৫
এএসএস/জেডএস