সিলেট: শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলায় দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন।
সোমবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর পৌনে ১২টায় মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামসহ ১১ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবর হোসেন মৃধার আদালতে আলোচিত এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের দিন ধার্য হবে বলে জানান ওই আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মফুর আলী।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের এক ঘণ্টা যুক্তিতর্কের পর আসামিপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্কের সুযোগ দেওয়া হবে।
এর আগে রোববার (২৫ অক্টোবর) এ মামলায় ৩৪২ ধারায় আসামিদের মতামত গ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শুরু হয়। এদিন ৬ আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আদালতে তাদের লিখিত ও মৌখিক বক্তব্য তুলে ধরেন।
গত ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে সামিউল আলম রাজনকে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের পর মরদেহ গুম করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হন কামরুলের ভাই মুহিত আলম। নির্যাতনের ২৮ মিনিটের ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশে-বিদেশে নিন্দার ঝড় ওঠে। খুনিদের ফাঁসির দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠে জনতা।
নিহত রাজন সদর উপজেলার কান্দিরগাঁও ইউনিয়নের বাদেআলী গ্রামের আজিজুল ইসলাম আলমের ছেলে। হত্যাকাণ্ডের পর মহানগরীর জালালাবাদ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাদী হয়ে মুহিত আলমসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে গিয়ে হত্যাকারীদের সঙ্গে আর্থিক সমঝোতার অভিযোগে বরখাস্ত হন জালালাবাদ থানার ওসি (তদন্ত) আলমগীর হোসেন, এসআই জাকির হোসেন ও আমিনুল ইসলাম।
গত ১৬ আগস্ট সৌদি আরবে আটক কামরুল ইসলামসহ ১৩ আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ হত্যা মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর সুরঞ্জিত তালুকদার।
এর আগে মুহিত আলমসহ আটজন এ ঘটনায় হত্যার দায় স্বীকার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
গত ২২ সেপ্টেম্বর একই আদালতের বিচারক চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলায় সৌদি আরবে আটক কামরুলসহ ১৩ আসামির বিরুদ্ধে ৩০২/২০১/৩৪ ধারায় চার্জ গঠন করেন।
গত ১ থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত ১০ কার্যদিবসে মোট ৩৬ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। কামরুলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২১ অক্টোবর ১১ জন সাক্ষী ফের সাক্ষ্য দেন তার উপস্থিতিতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৫
এনইউ/এএ/এএসআর