ঢাকা: রাজধানীর পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের হোসেনী দালানে আশুরার মিছিলের প্রস্তুতিকালে শক্তিশালী বোমা হামলার পর উদ্ধার তৎপরতা বেশ ভালো ছিল বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীরা।
সোমবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে বাংলানিউজের সঙ্গে কথা বলেন ঢামেকে চিকিৎসাধীন কয়েকজন রোগী।
হোসেনী দালানে হামলার ঘটনায় আহত হয়ে ১০১নং ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা রোগী মোনির হোসেন বলেন, হামলার পরপরই উদ্ধার তৎপরতা বেশ ভালো ছিল। দ্রুতই সবার সহযোগিতায় আমরা হাসপাতালে আসি। চিকিৎসাও খুব দ্রুত শুরু হয়। এতে অনেকের ক্ষয়ক্ষতি কমেছে।
এই ওয়ার্ডে আরও ভর্তি আছেন, মনিরের বড় ভাই নূর হোসেন (৪০)। মনিরের স্ত্রী হালিমা, তার ছেলে কায়েস এবং খালাতো ভাই কামাল।
তারা বাংলানিউজকে বলেন, মহররম হচ্ছে ভুল সংশোধনের দিন। এখানে শিয়া-সুন্নি কোনো বিষয় নয়। এটি পুরো মুসলমানদের দিন। এই পবিত্র দিনে গোলাগুলি-বোম মেরে ধর্মপ্রাণ মানুষকে ধর্মের কাছ থেকে দূরে রাখা যাবে না।
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে তারা আরও বলেন, আমাদের চৌদ্দপুরুষ এই মিছিলে অংশ নিচ্ছেন। আমরা এখানে মানত করে থাকি। বিশ্বাস আর ধর্মকে বোমা মেরে কেউ দূরে রাখতে পারবে না। এটি কখনও সম্ভবও নয়।
যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিচারের দাবি করে তারা বলেন, এরা মানুষ নয়, মানুষরূপী শয়তান। এদের দ্রুত বিচার না হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আরও বাড়তে পারে।
ঢামেক জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন (আরএস) ডা. রিয়াজ মোরশেদ বাংলানিউজকে জানান, হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে একজন আইসিইউতে (ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র)। আর সোহান (১১) ও রাকিব (২৪) নামে দুইজনের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। আইসিইউতে রয়েছেন মো. জামাল উদ্দিন (৫০)।
আইসিইউ বিভাগের প্রধান প্রফেসর আব্দুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, জামাল উদ্দিন এখনও কিছুটা শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন। তার চিকিৎসা চলছে। এছাড়া অন্যরা ভালোই আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৫
এজেডএস/আইএ