ঢাকা: তামাক নিয়ন্ত্রণে বিদ্যমান আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার।
সোমবার (২৬ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম সংক্রান্ত এক মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্বকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এ সংক্রান্ত খসড়া নীতিমালা প্রণয়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করতে সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবেশ উন্নয়নের আন্দোলন নিয়ে বিশ্বব্যাপী যে প্রশংসা অর্জন করেছেন তার মধ্যেও তামাকমুক্ত পরিবেশের ধারণা বিদ্যমান। সরকারের সদিচ্ছা বাস্তবায়নে নীতিমালা তৈরি করা জরুরি।
খসড়া নীতিমালা প্রণয়নের পর বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডার এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে তা চূড়ান্ত করার জন্য মন্ত্রী এ সময় নির্দেশনা দেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তামাকের আগ্রাসন যত বেশি প্রতিহত করা যাবে জনগণের স্বাস্থ্য তত বেশি সুরক্ষিত হবে। এদেশের জনগণের স্বাস্থ্যমান উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা সফল করতে হলে সমাজ থেকে তামাক দূর করতে হবে। অসংক্রামক রোগ নির্মূলে সরকারের গৃহীত কার্যক্রমের সাফল্যও নির্ভর করে তামাকমুক্ত সমাজ গড়ার সাফল্যের ওপর।
আগামী শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তির সময় ধূমপায়ী শিক্ষার্থীদের বিবেচনায় না আনার ঘোষণা আবারও উল্লেখ করেন মোহাম্মদ নাসিম।
তিনি বলেন, আগামী ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে মেডিকেল ভর্তির সময় পরীক্ষায় পাশ করার পর শিক্ষার্থী ধূমপান ও মাদক মুক্ত কিনা সে বিষয়ে প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। মেডিকেল কলেজ এবং স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে ধূমপানে বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞা জোরালোভাবে কার্যকর করতে ইতোমধ্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নাসিম বলেন, এমডিজি পরবর্তী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশের নতুন কর্মসূচিতেও তামাকমুক্ত দেশ গড়ার কার্যক্রমে গতিশীলতা আনা হবে।
সভায় ইন্টারন্যাশনাল পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী, স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক, জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আবদুল মালেক, উবিনীগ এর নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আক্তারসহ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল, ঢাকা আহ্সানিয়া মিশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৫
এসকেএস/এমজেএফ