সিলেট: ফের ধার্য তারিখে সাক্ষ্যগ্রহণ হলো না সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার। বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) আদালতে ৯ আসামি হাজির না থাকায় এবং বিবাদি পক্ষের আইনজীবীরা উপস্থিত না হওয়ায় সাক্ষ্যগ্রহণ করেননি সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মকবুল আহসান।
ওই আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার কর বাংলানিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার আদালতে আবদুর রউফ ও এরফান আলীসহ তিনজন সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১৪ আসামির মধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ৫ জনকে আদালতে হাজির করা হয়। কিন্তু আদালতে ৯ আসামি ও বিবাদি পক্ষের আইনজীবীরা হাজির হননি। যে কারণে সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।
এর আগে বুধবারও (২৮ অক্টোবর) দুই সাক্ষী আদালতে হাজির হলেও পর্যাপ্ত আসামি উপস্থিত না থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।
আগামী ৪ ও ৫ নভেম্বর মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন বলেও জানান তিনি।
তিনি জানান, হবিগঞ্জ পৌরসভার সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জিকে গউছসহ ৫ জন আদালতে হাজির ছিলেন।
কিবরিয়া হত্যা মামলার ৩২ আসামির মধ্যে ৮ জন জামিনে, ১৪ জন কারাগারে ও ১০ জন পলাতক রয়েছেন। এরমধ্যে কারা হেফাজতে ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের বরখাস্ত হওয়া মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর আলোচিত এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারিত ছিল। কিন্তু ওইদিন বাদীপক্ষ আদালতে সাক্ষীদের হাজির করতে না পারায় বিচারক ৩০ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেন।
ওইদিন আদালতে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী হবিগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ ও হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান।
গত ২১ অক্টোবর আদালতে সাক্ষ্য দেন স্থানীয় তিন প্রত্যক্ষদর্শী আবদুল মতিন, আবদুল কাইয়ুম ও ঈমান আলী।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যের বাজারে এক জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া। হামলায় নিহত হন কিবরিয়ার ভাতিজা শাহ মনজুরুল হুদা, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী।
এ ঘটনায় হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৫
এনইউ/জেডএস