সিলেট: সিলেট নগরীর আলোচিত শিশু আবু সাঈদ (৯) হত্যা মামলার চার্জগঠন হবে আগামী ০৮ নভেম্বর।
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাহেদুল করিম সাঈদ হত্যা মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করে চার্জ গঠনের তারিখ নির্ধারণ করেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি-প্রসিকিউশন) আবদুল আহাদ চৌধুরী বাংলানিউজকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার শিশু সাঈদ হত্যা মামলার নথিপত্র নারী ও শিশু নির্যাতন ট্র্যাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়েছে। মামলাটি স্থানান্তর ও চার্জ গঠন করেছেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট।
এর আগে, গত ২৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে সিলেট মহানগর হাকিমের ১নং আদালতে অভিযোগপত্রটি দাখিল করেন মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) আবদুল আহাদ চৌধুরী। অভিযোগপত্রের উপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয় গত ০৭ অক্টোবর। ওইদিন অভিযোগপত্রটি আমলে নেন আদালত।
মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মোশাররফ হোসাইন এসি প্রসিকিউশনের কাছে এ মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) হস্তান্তর করেন।
চার্জশিটে সিলেট বিমানবন্দর থানার কনস্টেবল (বরখাস্ত) এবাদুর রহমান পুতুলসহ চারজনকে অভিযুক্ত করা হয়। চার্জশিটে থাকা অন্যরা হলেন- সোর্স আতাউর রহমান গেদা, সিলেট জেলা ওলামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম রাকিব ও প্রচার সম্পাদক মাহি হোসেন মাছুম। এর মধ্যে মাছুম পলাতক ও বাকিরা কারাবন্দি রয়েছেন।
গত ১১ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টায় সিলেট নগরীর রায়নগর থেকে স্কুলছাত্র আবু সাঈদকে (৯) অপহরণ করা হয়। পরবর্তীতে ১৩ মার্চ রাত সাড়ে ১০টায় পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুলের কুমারপাড়াস্থ ঝর্ণারপাড় সবুজ এলাকার ৩৭ নম্বর বাসার ছাদের চিলেকোঠা থেকে আবু সাঈদের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানার কনস্টেবল এবাদুর, পুলিশের সোর্স গেদা ও ওলামা লীগ নেতা রাকিবকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তারা তিন জন ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
তবে মামলার আরেক আসামি ওলামালীগ নেতা মুহিবুর রহমান মাছুম এখনও পলাতক রয়েছেন।
নিহত আবু সাঈদ শহরের রায়নগর দর্জিবন্দ বসুন্ধরা এলাকার আব্দুল মতিনের ছেলে। সাঈদ শহরের রায়নগর শাহমীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। তাদের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার এড়ালিয়াবাজারের খশিলা এলাকায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৫
এনইউ/এমআইকে/এসএস